আজকের দিনটা চালানোর মতো জ্বালানি রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। এরপরই ফের অন্ধকার নেমে আসবে দেশে। এই আবহে ফের একবার ভারত ক্রেডিট লাইনের অধীনে জ্বালানি পাঠাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রে। গতকালই শ্রীলঙ্কার নয়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসংহে বলেছিলেন, ‘আসন্ন দিনে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে লঙ্কাবাসীকে। ’ এই পরিস্থিতিতে ভারত যতটা সম্ভব সাহায্যের চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কাকে।
জানা গিয়েছে ডিজেলের দুটি কনাইনমেন্ট ভারত থেকে শ্রীলঙ্কা গিয়ে পৌঁছবে ১৮ মে এবং ১ জুলাই। এদিকে দুই দফায় শ্রীলঙ্কায় পেট্রলও পাঠাবে ভারত। ১৮ মে এবং ২৯ মে পেট্রলের কনসাইনমেন্ট ভারত থেকে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে পৌঁছবে। এদিকে শ্রীলঙ্কায় অত্যাবশ্যক ১৪টি ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এদিকে শ্রীলঙ্কার নতুন সরকার লোকসান রোধ করতে এবং শূন্য ভাঁড়ার ভরাতে জাতীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছে। দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য এই পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি বেতন প্রদানের জন্য টাকাও ছাপতে বাধ্য হচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
গতবছরের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইন্সের মূল্য ছিল ১২৪ মিলিয়ন ডলার। এদিকে গতকালই বিক্রমসিংহে বলেন, ‘বর্তমানে বিদেশ থেকে অত্যাবশ্যক পণ্য আমদানি করার জন্য শ্রীলঙ্কার কমপক্ষে ৭৫ মিলিয়ন জলার প্রয়োজন। তাই আগামী কয়েক মাস আমাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে কাটাতে হবে। কঠিন সময়ের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’ প্রসঙ্গত, বিক্ষোভের মুখে কয়েকদিন আগেই মহিন্দা রাজাপক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরেছিলেন। এরপই পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী রনিলকে ষষ্ঠবারের জন্য গদিতে বসান রাষ্ট্রপতি তথা মহিন্দার ছোট ভাই গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তবে তারপরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। প্রতিবাদীরা গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবিতে এখনও রাস্তায়। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা আরও অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ।