বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > সংক্রমণের হার বেশি হলে একই সময় অফিসে যাওয়ার ক্ষেত্রে মিলতে পারে ছাড়

সংক্রমণের হার বেশি হলে একই সময় অফিসে যাওয়ার ক্ষেত্রে মিলতে পারে ছাড়

সংক্রমণের হার বেশি হলে একই সময় অফিসে যাওয়ার ক্ষেত্রে মিলতে পারে ছাড় (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার রুখতে অফিসে উপস্থিতির ক্ষেত্রে ছাড় দিতে পারে রাজ্যগুলি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার রুখতে অফিসে উপস্থিতির ক্ষেত্রে ছাড় দিতে পারে রাজ্যগুলি। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে অফিসের সময় রাখা যেতে পারে। অর্থাৎ সব কর্মীকে একই সময় অফিসে যেতে হবে না। বিভিন্ন সময় আসতে যেতে পারবেন। তবে যে শহরগুলিতে সাপ্তাহিক ‘পজিটিভিটি রেট’ (যে সংখ্যক টেস্ট করা হয়েছে, তার কত শতাংশ পজিটিভ হয়েছে বা সংক্রমণের হার) ১০ শতাংশের বেশি, সেখানেই শুধুমাত্র সেই ছাড় দেওয়া দিয়েছে কেন্দ্র।

দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বুধবার নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাতে নজরদারি, সংক্রমণ রোখার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর হবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘নয়া নির্দেশিকার মূল লক্ষ্য হল, কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ রুখতে যে উল্লেখ্যজনক সাফল্য মিলেছে, তা আরও ভালো করা। যা দেশে লাগাতার সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে।’

নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে শহরগুলিতে সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি, সেখানে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে অফিসের সময় রাখা যেতে পারে। অর্থাৎ কয়েকজন কর্মীকে সকাল ন'টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অফিস করতে হল। কয়েকজন বেলা ১২ টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত অফিস থাকতে পারেন। তার ফলে একই সময় বেশি সংখ্যক কর্মীকে উপস্থিত থাকতে হবে না। বজায় থাকবে সামাজিক দূরত্বের বিধি। পাশাপাশি দূরত্ববিধি বজায় রাখতে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি অন্যান্য পদক্ষেপও করতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে সার্বিকভাবে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার হল ৮.২৬ শতাংশ। গত রবিবার এবং সোমবার তা ছিল যথাক্রমে ৮.০৪ শতাংশ এবং প্রায় ৮.৪ শতাংশ। মঙ্গলবার তা আটের নীচে নেমে গিয়েছে হয়েছে ৭.৯৫ শতাংশ।

বন্ধ করুন