মহারাষ্ট্রের থানে শহরের একটি কলেজে এনসিসি প্রশিক্ষণের সময় কাদাজলে মুখ ডুবিয়ে পড়ুয়াদের মারধর করার অভিযোগ উঠল। মারধর করার সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এরপরেই এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে থানের বন্দোদকর কলেজে। পড়ুয়াদের মারধর করার সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনার পরেই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে থানে নগর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলার রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিজেপির জেলা সভাপতিকে জুতোপেটা মহিলা কর্মীর, কলকাতা হাইকোর্টে তুলকালাম
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার আশ্বাস বিধানসভায় আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করা হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি, অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের তরফে অভিযুক্তকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে,৮ জন শিক্ষানবিশ পড়ুয়া বৃষ্টিতে জমা জলে মাথা ডুবিয়ে রয়েছে। তাদের হাত ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। পিছনের দিকে তারা হাত ভাঁজ করে রয়েছে। আর তাদের পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন প্রশিক্ষক। এই চ্যালেঞ্জিং ড্রিলটি করতে ব্যর্থ হলেই শিক্ষানবিশদের মারধর করা হচ্ছে।
ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শিবসেনা (ইউবিটি), কংগ্রেস সহ বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল শুক্রবার কলেজের বাইরে বিক্ষোভ করে। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) ছাত্র সংগঠন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।আন্দোলনকারীরা যাতে কলেজে ঢুকতে না পারে সেজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অন্যদিকে, শুক্রবার বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। স্পিকার রাহুল নারওয়েকার সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার আশ্বস্ত করেছেন, যে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহানও র্যাগিং বিরোধী আইনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এনসিসিও একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ছাত্রদের যেভাবে মারধর করা হয়েছে তা এনসিসি নীতির বিরোধী।