লেখিকা সুধা মূর্তি এবছরই পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এহেন সুধা সংবাদ চ্যানেল এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের পরিবারের বাকি সদস্যদের কিছু পরামর্শ দিলেন। বিতর্ক কীভাবে এড়ানো যায়, মূলত তা নিয়েই স্বামী তথা ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি, মেয়ে অক্ষতা মূর্তি এবং জামাই তথা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের উদ্দেশে বেশ কিছু বার্তা দিলেন সুধা। তিনি বলেন, 'প্রচারের আলোতে থাকা ব্যক্তিরা সবসময়ই বিতর্কে জড়াবেন।' এই আবহে সুধার বার্তা, 'নীতিগতভাবে সঠিক থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করে যেতে হবে।' তিনি আরও বলেন, যেকোনও পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে হবে।
১৯৭৮ সালে নারায়ণ মূর্তিকে বিয়ে করেছিলেন সুধা। এরপর ১৯৮১ সালে ইনফোসিস গঠনের জন্য স্বামী নারায়ণ মূর্তিকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন সুধা মূর্তি। সেই সংস্থা আজ বিশ্বের অন্যতম নামকরা প্রযুক্তি কোম্পানি। তবে বিগত দিনে বেশ কিছু কারণে বিতর্কে জড়িয়েছে মূর্তি পরিবার। ঋষির স্ত্রী তথা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতা ইনফোসিসের শেয়ারের মালিক। এই সংস্থা থেকে আয় হলেও তিনি ব্রিটেনের বাসিন্দা না হওয়ার দরুণ সেদেশে আয়কর দেন না। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেও রাশিয়ায় নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছে ইনফোসিস।এই ধরনের নানান বিষয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে সেই সব বিতর্কের মাঝেই প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে ঋষি সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হন।
এহেন ঋষির শাশুড়ি সুধা মূর্তি সংবাদ চ্যানেলকে বলেন, 'প্রত্যেকেরই কিছু বিশেষ ক্ষমতা আছে, কিন্তু তার সঙ্গে কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে।' ভারতীয় মহিলাদের উদ্দেশে সুধার বার্তা, 'আমি সমস্ত ভারতীয় মহিলাদের বলতে চাই, একবার আপনার জীবনে শিশুর আগমন ঘটলে তারাই অগ্রাধিকার পায়। এরপর আপনি যখন পুনরায় কাজে যোগদান করবেন, আপনি সেই পুরোনো স্তরে যোগদান করতে পারবেন না। তবে মনে রাখবেন, বয়স কোনও বাধা নয়। আপনার আবেগ আপনাকে শীর্ষে নিয়ে যেতে পারে।' নিজের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, 'আমি যখন নিজের ক্যারিয়ারে পিছনের আসনে চলে যাই, তখন ভাবিনি লেখক হিসেবে আমার ক্যারিয়ার এতদূর এগোবে। আমি টেকনোক্র্যাট ছিলাম। তাই এই পথে পথচলা আমার জন্য কঠিন ছিল বটে। তবে আমি থেমে থাকিনি।' উল্লেখ্য, কম্পিউটার সায়েন্সের সঙ্গে যুক্ত সুধা মূর্তি প্রায় ২০টি বই লিখেছেন। তার থেকে বেশ কিছু টিভি সিরিজও হয়েছে। ১৯৮১ সালে নিজের স্বামীর সংস্থায় বিনিয়োগ করা প্রসঙ্গে সুধা বলেন, 'আমি তাঁর স্বপ্নে বিনিয়োগ করেছিলাম। যদি এটা সফল না হত, তাহলে আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরে যেতাম। আমি শুধু দুই কামরার বাড়ি আর একটি স্কুটার চেয়েছিলাম।' ধনী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'অর্থ খুবই প্রয়োজনীয়। অর্থ থাকলে অন্যকে সাহায্য করা যায়। তবে অর্থ থাকলেই যে তা দেখাতে হবে, এমনটা নয়। আমার আগেও অনেক ধনী ছিলেন। আমার পড়েও অনেক ধনী আসবেন।'
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup