চিনি রফতানির উপর বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও একবছর বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত চিনি রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে। এর আগে গত মে মাসে ভারত থেকে রেকর্ড পরিমাণ চিনি রফতানি হয়েছিল বিদেশে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতের চিনি রফতানি ৫৭ শতাংশ বেড়ে ১০৯.৮ লক্ষ টনে পৌঁছেছিল। বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি রফতানিকারক দেশ হয়ে উঠেছিল ভারত। এদিকে চিনিকলগুলিলি এতে লাভবান হলেও দেশের বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি পায়। মাথায় হাত পড়ে আম জনতার। এই আবহে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয় সরকার। উৎসবের মরশুমের আগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় চিনির রফতানির উপর। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও একবছর বৃদ্ধি করল সরকার।
বর্তমানে বিশেষ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক কোটি টন চিনি রফতানি করা যাবে। তবে সেই ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে। সরকারের অনুমতি ছাড়া এক কেজি চিনিও রফতানি করা যাবে না দেশ থেকে। খাদ্যমন্ত্রকের অধীনে ‘ডাইরেক্টরেট অব সুগার’ এই বিধিনিষেধ কার্যকর করবে। এদিকে চিনি কোম্পানিগুলোর রফতানির জন্য এবছর ৮ মিলিয়ন টনের কোটা জারি করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এতে কিছুটা স্বস্তি পাবে চিনি কলগুলি।
মনে করা হচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষে দেশে ২৭.৫ মিলিয়ন টন চিনির প্রয়োজন হতে পারে। এর মধ্যে ইথানল উৎপাদনে ৪.৫ মিলিয়ন টন চিনি ব্যবহার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে চিনিকলগুলির আশা, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানির জন্য ৮ মিলিয়ন টনের মতো চিনি উৎপাদন করা সম্ভব হবে চলতি অর্থবর্ষে। উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের শুরুতে গম রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র। তারপর চাল রফতানির উপরও জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় দেশের বাজারে যাতে গম ও চালের আকাল না দেখা দেয়, তার জন্যই এই পদক্ষেপ করেছিল সরকার।