৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। হাইকোর্টও সেই সাজা বহাল রেখেছিল। তবে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস করল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় পুলিশের তদন্ত নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সঠিকভাবে তদন্ত না করার ফলে মৃত শিশুর পরিবারের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। পাশাপাশি নিম্ন আদালত এবং উচ্চ আদালতেরও সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এই মালমায় বেশকিছু সুপ্রিম কোর্টের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যখন অপরাধ জঘন্য হয়, তখন আদালতের উপাদান প্রমাণগুলিকে উচ্চতর যাচাই-বাছাইয়ের অধীনে রাখতে হয়। কিন্তু দায়রা আদালত এবং হাইকোর্টের পক্ষ থেকে ভুল পদ্ধতির কারণে একজন দরিদ্র, নির্দোষ মানুষকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
দুয়ারে রেশন নিয়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ২০১২ সালের ৮ মার্চ, উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তী জেলার সেমগড় গ্রামের বাসিন্দা কিশুন বাহাদুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে এক ব্যক্তি তার ভাইঝিকে অপহরণ করেছে। এরপর গ্রামের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত আখ ক্ষেতে মেয়েটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলায় প্রথমে নিম্ন আদালত তার ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে। এরপর এলাহাবাদ হাইকোর্টও সেই সাজা বহাল রাখে। এরপরে ওই ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মণ্যমের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানায় উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই ওই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশও পর্যাপ্ত প্রমাণ পেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মণ্যমের পর্যবেক্ষণ, একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে ফাঁসানোর মাধ্যমে পুলিশ এই মামলার সঠিক তদন্ত না করে অভিযুক্ত এবং শিশুটির পরিবার উভয়ের প্রতি অবিচার করেছে। একই সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন।