বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালে আধার কার্ড বাতিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে জবাবদিহি চাইল সুপ্রিম কোর্ট। প্রায় তিন কোটি আধার কার্ড এই সময়ে বাতিল করে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে রেশন মিলতে সমস্যা এমনকি খাদ্যাভাবে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটার অভিযোগ উঠেছে।
'খুবই চিন্তাজনক ঘটনা। আশা করি এটি নিয়ে আপনারা সঠিক মনোভাব দেখাবেন,' কেন্দ্রকে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ কেন্দ্র ও (UIDAI)-কে এ বিষয়ে জবাবদিহির নির্দেশ দেয়।
আধার কার্ড না থাকায় ঝাড়খণ্ডে রেশনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে জনস্বার্থে মামলা করেছিলেন কৈলি দেবী বলে এক মহিলা। সেই মামলার বিচারেই কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি এএস বোপান্না ও ভি রামাসুভ্রাহ্মণিয়ন জানান যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট হাই কোর্টের দেখা উচিত্। তবে, এই মতের বিরোধিতা করে মহিলার আইনজীবী কোলীন গোনসালভেস বলেন, 'আধার কার্ড বাতিল করেছে কেন্দ্র। তাই এটির বিচার সুপ্রিম কোর্টেই হওয়া উচিত।'
কেন্দ্রের তরফ থেকে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল আমান লেখি বলেন যে আগেই রাজ্যদের বলা হয়েছে আধার না থাকলে বিকল্প নথি দেওয়া যাবে। কেউ যেন খাদ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সেটা স্পষ্ট করে বলা আছে বলে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়। তাদের দাবি জনস্বার্থ মামলাটিতে কোনও সারবত্তা নেই। অ্যাটর্নি জেনারেল বেনুগোপালও একই কথা বলেন।
তবে বিষয়টি লঘু করে দেখতে রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট। সিজেআই বলেন যে বিষয়টি খুব গুরুতর এবং ভালো ভাবে শুনতে হবে সব পক্ষের কথা। তিন সপ্তাহ বাদে এর শুনানি হবে বলে আদালত জানায়।
গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্র ঝাড়খণ্ডে খাদ্যাভাবে মৃত্যুর ঘটনায় আধার কার্ড বাতিলের প্রভাব অস্বীকার করে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় আধারকার্ড বা রেশন কার্ড বাতিলের সংখ্যাতত্ত্বের সঙ্গে সেই সময়ে ঝাড়খণ্ডে মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই।পিটিশন দাখিলকারী কৈলী দেবীর ১৩ বছরের মেয়ে রেশনের অভাবে খাদ্যাভাবে মারা যান।