ব্যক্তিত্ববান কাউকে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করা উচিত। আজ এমনই পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সংস্কার আনার দাবিতে দায়ের করা এক জনস্বার্থ মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে আজ শুনানি হচ্ছিল। সেই শুনানি চলাকালীন বিচারপতি কেএম জোসেফের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করে, ‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।’ আদালত বলে, ‘তাদের (সিইসিদের) কার্যকাল অত্যন্ত ছোট। এইভাবে এই তথাকথিত স্বাধীনতায় শুধু একজন প্রবক্তা বসানো হচ্ছে। আমি দুঃখিত, কিন্তু আমি বলতে চাই, এই ধরনের কম দিনের (মুখ্য নির্বাচক আধিকারিকের) মেয়াদে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে (প্রতিষ্ঠান)।’
১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদে দায়িত্ব সামলানো টিএন শেশানের উদাহরণ তুলে ধরে শীর্ষ আদালত আজ বলে, ‘আমরা চাই যাতে ব্যক্তিত্ববান কাউকে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করা উচিত। আমাদের এমন প্রচেষ্টা হওয়া উচিত যাতে করে সেরা মানুষটি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।’ সর্বোচ্চ আদালত বলে, ‘অনেক সিইসি এসেছেন। তবে টিএন শেশান মতো মানুষ কালেভদ্রে একবারই আসেন। আমরা চাই না কেউ তাঁকে বুলডোজ করুক। তিনজনের (সিইসি ও দুই নির্বাচন কমিশনার) ভঙ্গুর কাঁধে বিপুল ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সিইসি পদের জন্য সেরা মানুষ খুঁজতে হবে।’
এরপর শীর্ষ আদালত বলে, ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হল, আমাদের মোটামুটি ভালো পদ্ধতি রাখতে হবে, যাতে যোগ্য, শক্তিশালী চরিত্রের কাউকে সিইসি হিসাবে নিয়োগ করা যায়।’ এদিকে সরকারের পক্ষে এদিন সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়, ‘সেরা ব্যক্তিকে নিয়োগ করার বিষয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে সেই কাজটা কীভাবে করা যায়?’ সরকারের কথায়, ‘সংবিধানে কোনও শূন্যতা নেই। বর্তমানে মন্ত্রী পরিষদের সহায়তা ও পরামর্শে রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করেন নির্বাচন কমিশনারদের।’ এর জবাবে সর্বোচ্চ আদালত বলে, ‘গণতন্ত্র সংবিধানের একটি মৌলিক কাঠামো। এটা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। আমরা সংসদকে কিছু করতে বলতে পারি না এবং আমরা তা করবও না। আমরা শুধু ১৯৯০ সাল থেকে উত্থাপিত ইস্যু নিয়ে কিছু করতে চাই। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আমরা জানি, বর্তমান ব্যবস্থা (নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের) বদলের কথা উঠলে ক্ষমতাসীন দল বিরোধিতা করবে।’