২০২১ সালের অক্টোবরে কেন্দ্র সরকার বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির পরে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। তার প্রতিবাদে সরব হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব সহ একাধিক রাজ্য। সেই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করলে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘বিএসএফের এলাকা বাড়ানো হলেও রাজ্য পুলিশের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়নি। তাদের তদন্তের অধিকার বহাল থাকবে।’
আরও পড়ুন: কাঁটাতারে আটকায় না অনুপ্রবেশ, তাই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে BSF-এর ভরসা এবার মৌমাছি
সুপ্রিম কোর্টে এ নিয়ে মামলা করেছিল তৎকালীন পঞ্জাব সরকার। পঞ্জাবে বিএসএফের এক্রিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটারে বাড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল পঞ্জাব সরকার। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই মামলাটির বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার এবং পঞ্জাব সরকারকে বিএসএফের অধিকার সক্রান্ত সমস্যাটি নিয়ে হলফনামা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে। তারপরেই এই মামলার শুনানি হবে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অসম, পশ্চিমবঙ্গ এবং পঞ্জাবের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটারের পরিবর্তে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে বিএসএফ তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত এবং গ্রেফতার করতে পারবে। পঞ্জাব সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়, গুজরাট এবং রাজস্থান হল পঞ্জাবের থেকে আলাদা। তাই পঞ্জাবে এই ক্ষমতার ব্যবহার ঠিক নয়। এরকম হলে তা যুক্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হবে। পঞ্জাব একটি ছোট রাজ্য। অন্যদিকে, কেন্দ্র এই আবেদনের বিরোধিতা করেছে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, সমস্ত সীমান্ত রাজ্যে বিএসএফের এখতিয়ার রয়েছে। ১৯৬৯ সাল থেকে গুজরাটের ৮০ কিলোমিটার ছিল। এখন এটি ৫০ কিলোমিটার। কিছু অপরাধ, পাসপোর্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিএসএফের এক্তিয়ার থাকবে। স্থানীয় পুলিশেরও অধিকার থাকবে। তিনি জানান, পুলিশের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হয়নি। একচেটিয়াভাবে বিএসএফের কাছে ক্ষমতা ন্যস্ত করা হবে না। তিনি আরও জোর দেন , যে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সমস্যাগুলির মতো কিছু অপরাধই সাধারণ এখতিয়ারের আওতায় পড়ে। এরপরেই বেঞ্চ উভয়পক্ষকে একসঙ্গে বসে এবিষয়ে আলোচনা করতে বলেছে। তারপর শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হবে।