তৃতীয় দলিত বিচারপতি পেতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট, কলেজিয়ামের অনুমোদনে উঠল নাম

প্রসন্ন বি ভারালে একমাত্র প্রধান বিচারপতি কর্নাটক হাইকোর্টের যাঁর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। কলেজিয়ামের মাধ্যমে নিয়োগ নিয়ে আগে অনেক জটিলতা দেখা দিয়েছিল। নানা অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এই কলেজিয়ামকে নিরপেক্ষভাবে ঢেলে সাজান। সুতরাং আর কোনও অভিযোগ তোলার জায়গা রইল না।

দলিত বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালে

কলেজিয়ামের অনুমোদনে আরও এক দলিত বিচারপতি পেতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসন্ন বি ভারালে কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। এবার তাঁকেই সেখান থেকে সর্বোচ্চ আদালতে নিয়ে আসা হচ্ছে। অত্যন্ত দক্ষ এই বিচারপতিকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নিয়ে আসা হলে একটা নজির হয়ে থাকবে। তবে এখন সুপ্রিম কোর্টে আরও দু’‌জন দলিত বিচারপতি রয়েছেন। সেখানে প্রসন্ন বি ভারালে যুক্ত হলে তিনজন দলিত বিচারপতি পাবে সুপ্রিম কোর্ট। এই কথা জানতে পেরে সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারপতিরা খুব খুশি।

এদিকে আরও দুই বিচারপতি বিআর গাভাই এবং সিটি রবিকুমার হলেন দুই দলিত বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টে। তার মধ্যে সিটি রবিকুমারের মেয়াদ ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে শেষ হবে বলে খবর। তবে প্রসন্ন বি ভারালে যুক্ত হলে সুপ্রিম কোর্টে এই প্রথমবার তিনজন দলিত বিচারপতিকে একসঙ্গে দেখা যাবে। যা আগে কখনও হয়নি। বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালে (‌৬১)‌ স্নাতক পাশ করেন বাবাসাহেব আম্বেদকর মারাথওয়াড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এটি মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে। তারপর দুই দশক ধরে আইন নিয়ে চর্চা করেন। আগে তিনি বম্বে হাইকোর্টেও ছিলেন।

অন্যদিকে ২০২২ সালে কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন। তিনি এখানের প্রবীণ বিচারপতি। আর একমাত্র দলিত বিচারপতি। মোট ৩৪ জন বিচারপতি নিয়ে চলে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালে যুক্ত হলে সেই সংখ্যা পূর্ণ হবে। কারণ গত মাসে বিচারপতি এসকে কাউল পদত্যাগ করেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম গত মাসে পাঁচটি নাম ঠিক করে সরকারের কাছে পাঠায়। তার মধ্যে চারজন হাইকোর্টের বিচারপতি। দু’‌জন জম্মু কাশ্মীর এবং দু’‌জন লাদাখ হাইকোর্টের বিচারপতি।

এছাড়া প্রসন্ন বি ভারালে একমাত্র প্রধান বিচারপতি কর্নাটক হাইকোর্টের যাঁর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। কলেজিয়ামের মাধ্যমে নিয়োগ নিয়ে আগে অনেক জটিলতা দেখা দিয়েছিল। নানা অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এই কলেজিয়ামকে নিরপেক্ষভাবে ঢেলে সাজান। সুতরাং আর কোনও অভিযোগ তোলার জায়গা রইল না। ১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেন। সংবাদসংস্থা পিটিআই–কে দেওয়া তাঁর বক্তব্য, ‘‌আমাদের বহু আলোচনা গোপন রাখতে হয় যাঁরা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হবে তাঁদের বিষয়ে।’‌