সারোগেসির মাধ্যমে মা হওয়া মহিলারও মাতৃত্বকালীন ছুটি পাওয়ার অধিকার আছে। এক মামলার প্রেক্ষিতে এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে রাজস্থান হাই কোর্ট। আদালত রায়ে বলেছে, সারোগেসির মাধ্যমে মা এবং জৈবিক মার মধ্যে কোনও পার্থক্য রাজ্য সরকারের করা উচিত নয়।
এক স্কুল শিক্ষিকার আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি অনুপ কুমার ধন্দের একক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান জন্মেছে এই যুক্তি দেখিয়ে স্কুল শিক্ষিকা চন্দ কেসওয়ানকে মাতৃত্বকালীন ছুটি দিতে অস্বীকার করে স্কুল। যুক্তি হিসাবে স্কুল শিক্ষা দফতরে একটি নির্দেশকে দেখান স্কুল কর্তৃপক্ষ।
মামলায় আদালত বলে, 'সারোগেসির মাধ্যমে মাতৃত্ব এবং জৈবিক মাতৃত্বের মধ্যে পার্থক্য করা আসলে মাতৃত্বকেই অপমান। মাতৃত্বে কখনও বৈষম্য করা যায় না। তা সে যদি কেউ সারোগেসির মাধম্যমেই মা হয়ে থাকেন। মাতৃত্ব কালীন ছুটি তাঁরও প্রাপ্য।'
(পড়তে পারেন। 'অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করবেন না', বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করল সুপ্রিম কোর্ট)
সারোগেসির মাধ্যমে আবেদনকারীর যমজ সন্তান হয়। সন্তানদের দেখাশোনার জন্য তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় স্কুল শিক্ষা দফতর। নির্দেশিকায় যুক্তি হিসাবে বলা হয়, রাজস্থান পরিষেবা বিধি, ১৯৫১ অনুযায়ী সারোগেট মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির সুবিধা নেই।
আদালত বলে, সন্তানের জন্ম দিয়ে বা সন্তান দত্তক নিয়ে মা হওয়া যায়। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সারোগেসিও মাধ্যমে অনেকে মা হচ্ছেন।
আদালত বলে, সরকারও সারোগেসিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সারোগেসি আইন ২০২১ মাধ্যমে একে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।