জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান। প্রাথমিকভাবে যা খবর, তাতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ইতিমধ্যে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। প্রাণহানিরও আশঙ্কা আছে। আপাতত অবশ্য হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাইওয়ানের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, রিখটার ওই কম্পনের মাত্রা ৭.৫ ছুঁয়ে ফেলেছে। সেই পরিস্থিতিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ তাইওয়ানে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একইভাবে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণ জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপ এবং ফিলিপিন্সেও।
ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৭ টা ৫৮ মিনিটে (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) তাইওয়ানের বিস্তীর্ণ অংশ কেঁপে ওঠে। রাজধানী তাইপেইয়ে কম্পন অনুভূত হয়েছে। কম্পনের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর মিলেছে। স্থানীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে পূর্ব তাইওয়ানের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হুয়ালিয়েনের একাধিক বাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর নড়ে গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে সেরকম বাড়িতে কয়েকজন আটকে থাকতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে একটি ঝাঁ-চকচকে আবাসন সামনের দিকে পুরোপুরি হেলে গিয়েছে। আশপাশ থেকে ধুলো উড়ছে। বাড়ি ভেঙে পড়লে যেমন ধুলো ওড়ে, একচোখে দেখে সেটাই মনে হচ্ছে। ইতিমধ্যে এলাকায় দমকলের গাড়ি দেখা গিয়েছে। অপর একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখা গিয়েছে যে রাস্তায় কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছেন। আর দূরে পুরো ধুলো হয়ে গিয়েছে। বিশাল বড় আবাসন বা বাড়ি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে গেলে সেরকম ধুলো তৈরি হয়।
সুনামির সতর্কতা জারি
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, হুয়ালিয়েন উপকূল বরাবর সমুদ্রের জলে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। চিনের সাংহাই থেকেও কম্পন অনুভূত হওয়ার খবর মিলেছে। তাইওয়ান, দক্ষিণ জাপান, ফিলিপিন্সের মতো জায়গায় সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হুয়ালিয়েনের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ভূপৃষ্ঠের ৩৪.৮ কিমি গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল।
জাপানের আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে ১০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। জাপানের সরকারি সংবাদমাধ্যে একটি ব্যানারে বলা হয়েছে যে 'খালি করুন।' এক সঞ্চালককে বলতে শোনা গিয়েছে, 'সুনামি আসছে। দ্রুত এলাকা খালি করে দিন। দাঁড়াবেন না। পিছিয়ে যাবেন না।' অন্যদিকে, ফিলিপিন্সের একাধিক উপকূলবর্তী এলাকায় সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।