ভারতের প্রাক্তন সেনা প্রধান মনোজ নরাভানে, নেভির প্রধান করমবীর সিং ও বায়ুসেনার প্রধান আরকেএস ভাদোরিয়া তাইওয়ানে গিয়েছেন। তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রকের আয়োজিত একটা অনুষ্ঠানে তাঁরা অংশ নিচ্ছেন বলে খবর। প্রাক্তন তিন কর্তা প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত আলোচনাতেও অংশ নিতে পারেন বলে খবর।
তাওয়ানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি প্রেস নোট জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তারা আসো, এস্টোনিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রুজ আনসিপ স্বাগত ভাষণে অংশ নেবেন। যে সমস্ত অতিথিরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন তাঁদের মধ্য়ে রয়েছেন, ১৪জন সাংসদ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, স্কলার, ১২টি দেশ থেকে আসা বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে অ্য়াডমিরাল করমবীর সিং, ভারতের ন্য়াশানাল মেরিটাইম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানও রয়েছেন।
ওয়াকিবহালের মতে কূটনীতিতে একটা কথা খুব প্রচলিত আছে শত্রুর শত্রু সবথেকে বড় বন্ধু। পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিয়েছে তাতে তাইওয়ান ও ভারত উভয়ের সঙ্গেই চিনের সম্পর্ক সবসময় ঠিক ভালো নয়। সেক্ষেত্রে তাইওয়ান ও ভারতের মধ্য়ে সম্পর্ক বৃদ্ধি পেলে তা চিনের পক্ষে মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বার বার অবনতি হয়েছে। আবার চিনের নেভি ও এয়ারফোর্স বারবারই তাইওয়ানের উপর নানাভাবে চাপ দেয়। এদিকে চিন বার বারই দাবি করে তাইওয়ান তাদের অংশ। অন্য়দিকে তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালায় চিন।
তবে এটা বলে রাখা ভালো তাইওয়ানের সঙ্গে ভারতের সরাসরি বিরাট কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমনটাও নয়। ২০২১ সালে রাজ্যসভায় বিদেশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলিধরণ জানিয়েছিলেন, তাইওয়ান সম্পর্কে ভারত সরকারের নীতি খুব পরিষ্কার। সরকার ওদের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও অন্যান্য বিনিময়কে উৎসাহ দেয়।
তবে অনেকের মতে, ভারতের প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে তিন প্রাক্তন কর্তার তাইওয়ানে উপস্থিতি অন্যরকম ইঙ্গিত দিচ্ছে। মনে করা হচ্ছে তাইওয়ান ভারতের সঙ্গে নন অফিসিয়াল কথাবার্তা জারি রাখতে চাইছে। এমনকী তাইওয়ান মুম্বইতে তৃতীয় তাইপেই ইকোনমিক অ্যান্ড কালচারাল সেন্টার তৈরি করতে চাইছে। বর্তমানে দিল্লি ও চেন্নাইতে তাদের এই ধরনের সেন্টার রয়েছে।