গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়ার পর শক্তি হারাল ‘তাউটে’। ইতিমধ্যে তা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টায় তা আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তবে ‘তাউটে’-এর দাপটে মঙ্গলবারও উপকূলবর্তী গুজরাত এবং দক্ষিণ রাজস্থানের একাধিক জায়গায় দিনভর বৃষ্টি হবে
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার রাত ন'টা নাগাদ দিউ ও উনার মধ্যে গুজরাত উপকূলের সৌরাষ্ট্রে আছড়ে পড়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘তাউটে’। সেই সময় ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার বেগে বইতে থাকে ঝড়। শেষপর্যন্ত স্থলভূমিতে প্রবেশের প্রক্রিয়া রাত ১২ টা নাগাদ শেষ হয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ‘তাউটে’-র প্রভাবে গুজরাতের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। প্রবল বৃষ্টি হয়। ঝড়ের দাপটে জুনাগড়, আমরেলি এবং ভাবনগর জেলায় উপড়ে পড়ে অসংখ্য গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। স্থানীয় বিধায়করা জানিয়েছেন, ওই জেলাগুলিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ধসে পড়েছে। বিভিন্ন প্রান্তে নেই বিদ্যুৎ। গুজরাতের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (রেভিনিউ) পঙ্কজ কুমার জানিয়েছেন, আপাতত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। যদিও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁদের বক্তব্য, মঙ্গলবার সকালের পরই ক্ষয়ক্ষতির আসল ছবিটা বোঝা যাবে। কারণে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সর্বত্র পৌঁছানো দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
স্থলভূমিতে প্রবেশের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর দুর্বল হয়ে পড়লেও ‘তাউটে’-র ভালোমতো দাপট থাকবে। গুজরাত উপকূলের আমরেলি, ভাবনগর, বোতাড়ের মতো জায়গায় ঘণ্টায় ১১৫ থেকে ১২৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কখনও কখনও ঝড়ের বেগ পৌঁছে যেতে পারে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটারে। দিউ, গির, সোমনাথ, জুনাগড়, সুরেন্দ্রনগর, রাজকোটের মতো জায়গায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় থাকবে ‘তাউটে’। তারপর ধীরে ধীরে তা দক্ষিণ রাজস্থানের উপর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ‘তাউটে’-র প্রভাবে গুজরাত এবং দক্ষিণ রাজস্থানের একাধিক জেলার অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে। কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে।