বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > TCS Share History: শেয়ারে ১ লক্ষ টাকা বেড়ে ২.২০ কোটি টাকা! এর থেকেই বিনিয়োগের শিক্ষা নিন

TCS Share History: শেয়ারে ১ লক্ষ টাকা বেড়ে ২.২০ কোটি টাকা! এর থেকেই বিনিয়োগের শিক্ষা নিন

ছবি সূত্র(এডিটেড): রয়টার্স (Reuters)

বড় রিটার্নের জন্য চাই বড় ধৈর্য্য। দীর্ঘ মেয়াদের বিনিয়োগে শুধু মাত্র যে শেয়ার দর থেকেই লাভ হয়, তেমনটাও নয়। বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে বিনিয়োগকারীর সম্পদ। TCS-এর শেয়ারের ইতিহাসই তার প্রমাণ।

শেয়ার বাজারে বড় কিছু করতে হলে দীর্ঘ মেয়াদে খেলুন। ওয়ারেন বাফেট থেকে রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা, প্রত্যেক সফল শেয়ার ধনকুবের এই একই বিষয়ে সহমত। ফলে ইন্ট্রাডে স্টক কেনাবেচার মাধ্যমে কখনই অনেক আয় করা সম্ভব নয়। বড় রিটার্নের জন্য চাই বড় ধৈর্য্য। দীর্ঘ মেয়াদের বিনিয়োগে শুধু মাত্র যে শেয়ার দর থেকেই লাভ হয়, তেমনটাও নয়। বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে বিনিয়োগকারীর সম্পদ। তাছাড়া শেয়ার বাইব্যাক, স্টক স্প্লিট ইত্যাদি বিষয়গুলি একজন বিনিয়োগকারীকে দীর্ঘ মেয়াদে লাভ করতে সহায়তা করে। আরও পড়ুন:৮০০ কোটি টাকার শেয়ার বেচতে চলেছে Dabur-র বর্মন পরিবার! আপনি কিনবেন?

বোনাস শেয়ার

বোনাস শেয়ারের মাধ্যমে কীভাবে একজন বিনিয়োগকারীর ভাগ্য ঘুরে যেতে পারে, তার একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। টাটা গোষ্ঠীর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা TCS-এর শেয়ারের দিকে নজর দিন। টাটা গ্রুপের এই শেয়ার গত ১৮ বছরে তিনবার ১:১ অনুপাতে বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। যদি কোনও বিনিয়োগকারী ১৮ বছর আগে এই স্টকে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে শুধুমাত্র এই তিনবার বোনাসের মাধ্যমেই তাঁর শেয়ার হোল্ডিংয়ের পরিমাণ আট গুণ বেড়ে যেত। তাঁর ১ লক্ষ টাকা বেড়ে ২.২০ লক্ষ টাকায় পরিণত হত। মনে রাখবেন, এটি কিন্তু শেয়ারের দাম বৃদ্ধির হিসাব ছাড়াই। শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার থেকেই এই আয় করবেন সেই বিনিয়োগকারী।

TCS-এর বোনাস শেয়ার

২০০৬ সালে TCS তার শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১:১ অনুপাতে বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে। এরপরে ২০০৯ সালের জুনে শেয়ারহোল্ডারদের এক-একটি টিসিএস শেয়ার পিছু একটি বোনাস শেয়ার দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে TCS-এর পরিচালনা পর্ষদ ফের বোনাসের ঘোষণা করেন। দীর্ঘমেয়াদে সংস্থার শেয়ার ধরে রাখার জন্য বিনিয়োগকারীদের বোনাস শেয়ার ইস্যু করে সংস্থা।

TCS-এর বোনাস শেয়ারে লক্ষ্মী লাভ

কোনও বিনিয়োগকারী যদি ১৮ বছর আগে TCS-এ ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে তিনি প্রায় ৮৩৩টি TCS-এর শেয়ার পেয়েছিলেন। সেই সময়ে TCS-এর শেয়ার দর ছিল প্রায় ১২০ টাকা করে। ২০০৬ সালে ১:১ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা হয়। এর ফলে এই ৮৩৩টি টিসিএস শেয়ার বেড়ে ১,৬৬৬টি হয়ে গিয়েছে। আবার ২০০৯-এর জুনে এই ১,৬৬৬টি টিসিএস শেয়ার বেড়ে ৩,৩৩২টি শেয়ারে পরিণত হয়েছে।

এরপর ২০১৮ সালের মে মাসে ১:১ বোনাস শেয়ার ইস্যু হয়। সেটার পর এই ৩,৩৩২টি টিসিএস শেয়ার আরও বেড়ে ৬,৬৬৪টি শেয়ারে পৌঁছে যাবে।

১ লক্ষ টাকা বেড়ে ২.২০ কোটি টাকা!

<p>টিসিএস-এর শেয়ারের পারফরম্যান্স। গ্রাফ: গুগল ফাইন্যান্স</p>

টিসিএস-এর শেয়ারের পারফরম্যান্স। গ্রাফ: গুগল ফাইন্যান্স

(Google Finance)

TCS-এর শেয়ারের দাম বর্তমানে প্রায় ৩,২৬০ টাকা করে। সুতরাং, ১৮ বছর আগে যদি কেউ টিসিএস-এ ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতেন, এবং এতদিন ধরে তা ধরে রাখতেন, তবে আজ তাঁর সেই বিনিয়োগের মূল্য দাঁড়াবে ২.২০ কোটি টাকা।

TCS শেয়ারের এই উদাহরণ থেকেই, স্টক বাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ এবং বোনাস শেয়ারের গুরুত্ব স্পষ্ট হয়। শেয়ার বাজারে রাতারাতি বড় হওয়ার ভাবনা নিয়ে প্রবেশ না করাই শ্রেয়। বরং যে সংস্থায় বিনিয়োগ করছেন, তার দীর্ঘ মেয়াদে বৃদ্ধির সম্ভাবনা, প্রতিষ্ঠাতাদের লক্ষ্য, সংস্থার মূলধন, বাজার ইত্যাদি সমস্ত দিক পর্যালোচনা করুন। আরও পড়ুন: Best Share in the World: এক বছরে ১,৬০০% রিটার্ন দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার এই শেয়ার!

বিঃ দ্রঃ- শেয়ার বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি বিশেষজ্ঞদের আলোচনা ও পর্যবেক্ষণ মাত্র। এগুলি বিনিয়োগ সুপারিশ নয়। স্টক মার্কেটে প্রবেশের আগে ঝুঁকির দিকগুলির বিষয়ে অবশ্যই পড়াশোনা করুন।

বন্ধ করুন