সম্প্রতি আরজেডির এক বিধায়ক দাবি করেছিলেন যে মার্চ মাসেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন তেজস্বী যাদব। এই আবহে মহাজোটে ফাটলের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এই আবহে এবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন তেজস্বী নিজে। জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে খুব একটা তাড়া নেই তাঁর। তিনি আরও বলেন, 'মহাজোটে অল ইজ ওয়েল।' এদিকে নীতীশ কুমার সম্পর্কে তেজস্বী বলেন, 'আরও লম্বা সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব সামলাতে সক্ষম নীতীশ কুমার।' তেজস্বী বলেন, 'আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করা। আমরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ক্ষমতায় ফিরতে দিতে পারি না।' (আরও পড়ুন: 'উগ্র রূপ নেবে ডিএ আন্দোলন, মমতাই দেখিয়েছেন পথ', চরম হুঁশিয়ারি)
এর আগে দিনার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা আরজেডি নেতা বিজয় কুমার মণ্ডল মঙ্গলবার দাবি করেন যে মার্চ মাসে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবই মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসতে চলেছেন। পাশাপাশি বিধায়কের দাবি, নীতীশে কুমার নিজেই এই পালাবদলে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন বলে দাবি করেন আরজেডি বিধায়ক। যদিও এহেন দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে জেডিইউ নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, বিজয়ের মন্তব্যের একদিন আগে, সোমবারই জেডিইউ-র সর্বভারতীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং ওরফে লালন সিং বলেছিলেন যে ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মহাজোটের তরফে তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হবে কি না, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। আর এই মন্তব্যের পরই এবার আরজেডি বিধায়ক দাবি করলেন যে আর কয়েকদিনের মধ্যেই তেজস্বী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বিহারের। এদিকে এই মন্তব্যে স্বভাবতই জেডিইউ অস্বস্তিতে পড়েছে। বিশেষ করে আরজেডি বিধায়ক যখন দাবি করেছেন যে এই পালাবদলে নীতীশেরই হাত থাকবে। এই মন্তব্যের জেরে মহাজোটে ফাটল ধরবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।
এদিকে দিনার কেন্দ্রের বিধায়ক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, 'আমার বিশ্বাস, নীতীশ কুমার নিজে জাতীয় রাজনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করবেন এবং বিরোধীদের একজোট করবেন। তিনি নিজেই তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী করে দেবেন।' এদিকে বিজয়ের এই মন্তব্যে হইচই পড়ে গিয়েছে। তাতে অবশ্য জেডিইউ-র তরফে পালটা বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, 'আমরা জানি না কীসের ভিত্তিতে এই সব মন্তব্য করেছেন আরজেডি বিধায়ক। আমাদের কাছে এমন কোনও তথ্য নেই।' এই জগাখিচুড়ির মধ্যেই এবার মহাজোটের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে উচ্চস্তরের নেতারা দমকলের কাজ করতে শুরু করে দিয়েছেন।