গতকালই কক্সবাজার থেকে আটক করা হয়েছিল ইকবাল হোসেন নামক এক যুবককে। মনে করা হচ্ছে এই সেই ইকবাল যে কুমিল্লার পুজো মণ্ডপে গিয়ে কোরান রেখে এসেছিল। সেই ঘটনায় অভিযুক্তকেই কক্সবাজার থেকে আটক করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধৃতকে। এরই মাঝে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এই বিষয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'এখনও পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত যে আটক ব্যক্তি সেই অভিযুক্ত ইকবালই।'
এদিকে বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, কুমিল্লার স্থানীয় হিন্দু নেতাদের একাংশের মত, ইকবালকে দিয়ে মণ্ডপে কোরান রাখানোর কাজ করিয়েছে অন্য কেউ। এই বিষয়ে প্রথম আলোকে নাকি স্থানীয় এক হিন্দু নেতা জানান, স্থানীয়দের অনেকেই নাকি এটা চাইছিল না যে নানুয়া দীঘির পাড়ে পুজো মণ্ডপটি স্থাপিত হোক। তাই স্থায়ী ভাবে এই মণ্ডপটি বন্ধ করার উদ্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। তাছাড়া আর কয়েক মাস পরেই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই আবহে সাম্প্রদায়িকতার আছিলায় রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেও এই ঘটনা হতে পারে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রাজনীতির বৃহত্তর ষড়যন্ত্রও এই ঘটনার নেপথ্যে থাকতে পারে।
জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আটক করা হয় ইকবালকে। এই যুবকই অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন কি না তা জানতে কুমিল্লা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাকে। পুলিশ জানায়, নোয়াখালি থেকে আসা একদল পর্যটক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে সৈকতে ইকবালকে সনাক্ত করে পুলিশকে খবর দেন। তারপরই সেখানে গিয়ে সেই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে কুমিল্লার পুজো মণ্ডপের বাইরে লাগানো এক সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে সেই মণ্ডপের সামনে রাখা হনুমানমূর্তির পায়ে কোরান রেখে হনুমানের গদাটি নিয়ে চলে যায় ইকবাল। অভিযুক্ত যুবক একজন ভবঘুরে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন মসজিদে, মাজারে দেখা যায় তাকে।