দেশের দ্বিতীয় ড্রাই স্টেট হিসাবে গণ্য করা হয় বিহারকে। ২০১৫ সালে বিহারে ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। তবে সরকারিভাবে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও নানা পথে মদ মেলে বিহারে। এমনকী বিষ মদ খেয়ে অসুস্থ কিংবা মৃত্যুর মতো ঘটনাও হয়েছে সম্প্রতি। এসবের মধ্যেই সেই মদের আইনকে পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য শীর্ষ নেতা সঞ্জয় জয়সওয়াল। তবে এনিয়ে এবার মুখ খুলেছেন খোদ নীতীশ কুমার। সোমবার তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন, এই আইনের কোথাও কোনও গলদ নেই।
জনতার দরবারের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই নিষিদ্ধকরণ আইনে কোথাও কোনও ত্রুটি নেই। দেশীয় মদ নিষিদ্ধ করার পর নানা ধরনের কর্পোরেশনের মাধ্যমে মদ বিক্রির প্রতিবাদ সাধারণ মানুষই করেছেন। বিদেশি মদের দোকান যাতে আর না খোলে সেই দাবি সাধারণ মানুষই করেছেন। তাঁরাই সম্পূর্ণভাবে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারকে চাপ দিয়েছিলেন।
এদিকে বিজেপি নেতা সঞ্জয় জওসওয়াল এই আইনকে পুনর্বিবেচনা করার ব্য়াপারে সওয়াল করেছিলেন। মূলত আইনের ফাঁক ফোঁকর গলে চম্পারণের মতো জায়গায় যেভাবে বিষ মদের রমরমা কারবার গড়ে উঠেছিল তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি। এমনকী ৫জেলায় ৪০জনের এই বিষ মদ খেয়ে মৃত্যুকে ঘিরেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কিছু মানুষ বিহার সম্পর্কে নানা খারাপ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বেশিরভাগ মানুষই এখানে ভালো, আর তাঁরাই চাইছেন রাজ্যে মদ পুরোপুরি নিষিদ্ধ হোক। চম্পারণের সঙ্গে গান্ধির যোগসূত্রের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর দাবি, ২০১৬ সালে এই আইন প্রয়োগের পর থেকে দুর্ঘটনা অনেক কমেছে। সব দিক বিবেচনা করেই এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছিল।