মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেনতৃত্বে যখন অ-কংগ্রেসি দল নিয়ে জোটের জল্পনা তুঙ্গে, ঠিক তখনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রশান্ত কিশোর দাবি করলেন, কোনও তৃতীয় বা চতুর্থ ফ্রন্ট বিজেপিকে ঠেকাতে পারবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। এই বিস্ফোরক মন্তব্য এমন একটা সময়ে এল যখন রাজনৈতিক মহল মনে করছিল যে পিকে-র ছকেই অ-কংগ্রেসি দলের বিকল্প ফ্রন্ট গড়ে উঠতে পারে ভারতে। তবে সেই সব জল্পনার মাঝেই প্রশান্ত কিশোরের এহেন মন্তব্যে ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
উল্লেখঅয, সোমবার দ্বিতীয়বার এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর। সেই বৈঠকের পরই অ-কংগ্রেসি বিজেপি বিরোধী দলের বৈঠক ডাকেন শরদ পাওয়ার। যার নেপথ্যে অনেকেই প্রশান্ত কিশোরের ছক দেখছিলেন। তবে বিরোধী মঞ্চের এই বৈঠক থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখলেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, 'রাষ্ট্র মঞ্চের সভার সঙ্গে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে আমার বৈঠকের কোনও সম্পর্ক নেই।'
শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে পিকে বলেন, ‘এর আগে তাঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়নি। তাই একে অপরকে ভালো করে জানার জন্য এই বৈঠক। রাজনীতির খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কী করা উচিত, কী নয়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ঠিকই। তবে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার কথা মাথায় আনছি না। এই ধরনের ফ্রন্টে বিশ্বাসী নই।’
প্রশান্ত কিশোরের দাবি, নরেন্দ্র মোদীকে ঠেকানোর লক্ষ্যে তৃতীয় বা চতুর্থ ফ্রন্ট গড়ার চেষ্টা ব্যর্থ। তবে ১১ জুনের পর সোমবার শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দ্বিতীয়বার পিকের বৈঠক ঘিরে জল্পনা আরও জোরালো হয়। 'মিশন ২০২৪' নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়। কিন্তু বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলতে চাননি শরদ, পিকে কেউই। এরপরই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া যশবন্ত সিনহার সঙ্গে মিলে বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডাকেন শরদ পাওয়ার। তাতে জল্পনা আরও বাড়লে এই সম্ভাব্য বিকল্প ফ্রন্ট থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন প্রশান্ত কিশোর।