গরু বেচে টিকিট কাটার পর বাতিল উড়ান, শেষপর্যন্ত বাড়ি ফিরছেন বাংলার ৩ শ্রমিক
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 27 May 2020, 02:42 PM ISTলকডাউন শুরুর পর থেকে মুম্বইয়ে কর্মরত ওই তিন শ্রমিকের আয় বন্ধ হয়ে যায়।
লকডাউন শুরুর পর থেকে মুম্বইয়ে কর্মরত ওই তিন শ্রমিকের আয় বন্ধ হয়ে যায়।
গবাদি পশু বেচে যে টাকা মিলেছিল, তা দিয়ে বিমানের টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন, উড়ান বাতিল তো হয়েছেই, মিলবে না টাকাও। তার জেরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল সোনু মোল্লাদের। শেষপর্যন্ত সোনুদের সাহায্যে এগিয়ে এল ইন্ডিগো। জানাল, তিন পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি ফেরার জন্য নতুন টিকিটের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, লকডাউন শুরুর পর মুম্বইয়ে কর্মরত ওই তিন শ্রমিকের আয় বন্ধ হয়ে যায়। যাঁরা আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। দেশের আরও লাখ লাখ শ্রমিকের মতো তাঁরা বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠেন সোনুরা। বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালুর পর কিছুটা আশার আলো দেখলেও টিকিট কাটতে ব্যর্থ হন। শেষ সম্বল বলতে ছিল, বিমান।
কিন্তু ফিরব বললেই তো হবে না, বিমানের টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে, সেই চিন্তায় ঘুম ওড়ে সোনুদের। তাই বাধ্য হয়ে কয়েকটি গোরু-সহ গবাদি পশু বিক্রি করে দেয় তিনজনের পরিবার। যা টাকা পাওয়া গিয়েছিল, তা বিমানের টিকিট কাটেন সোনুরা। তিনজনের টিকিটের জন্য খরচ পড়ে ৩০,৬০০ টাকা। শুধু তো তাই নয়, মুম্বই বিমানবন্দরে আসার জন্য ওলা ট্যাক্সিতে ২,০০০ টাকা গুনতে হয়।
তাতেও অবশ্য কিছুটা সান্ত্বনা ছিল - বাড়ি তো ফেরা যাচ্ছে। সেখান থেকে অবশ্য কালো মেঘের ঘনঘটা ধেয়ে আসতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। বিমানবন্দরে আসার পর সোনুরা জানতে পারেন, পশ্চিমবঙ্গে এখনও বিমান চলাচলের অনুমতি মেলেনি। সেজন্য বাতিল হয়ে গিয়েছে তাঁদের ইন্ডিগো উড়ান। মিলবে না উড়ান বাতিলের টাকাও। তারপর কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনজন। ৩২,০০০ টাকা খরচ করেও মুক্তি তো মিললই না। উলটে চরম সমস্যার দ্বীপে বন্দি হয়ে যান তাঁরা। পকেটে কানাকড়ি না থাকা সোনুদের তখন একটাই স্বগোক্তি, ‘আমাদের কাছে আর কিছু রইল না।’
তবে শেষপর্যন্ত তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসে ইন্ডিগো। উড়ান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, টাকা ফেরত দেওয়া না হলেও আগামী ১ জুনের বিমানে তাঁদের টিকিট বুক করা হয়েছে। সেজন্য বাড়তি কোনও টাকাও লাগবে না।