দেশে তিন তালাক আইনত নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও আইনের তোয়াক্কা না করেই তিন তালাক দেওয়ার ঘটনা ঘটল। গত ২৭ মার্চ ফোনে তাঁর স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন শাকিল নামে এক ব্যক্তি।ইতিমধ্যে মেয়ের বাড়ির তরফে শাকিল ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর হরিয়ানার পঞ্চগাওয়ানে শাকিলের সঙ্গে আসমার বিয়ে হয়। বিয়েতে আসমার পরিবারের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা পণ ও একটি মোটরসাইকেল দাবি করেছিল শাকিলের পরিবার।আসমা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, পণের টাকা দিতে না পারায় শাকিলের পরিবারের তরফে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন চালানো হত।শেষ পর্যন্ত আসমাকে পাহেদিতে তাঁর পরিবারের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, আসমা তিন মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলা।তাঁকে এভাবে তালাক দেওয়ায় মেয়েটির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন পরিবারের লোকেরা।
পাহেদির স্টেশন হাউজ অফিসার সুনীল গুপ্তা জানান, তিন তালাক ও পণের জন্য অত্যাচার করার অভিযোগে এক মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করছে।এই নিয়ে পাহেদিতে এটা দ্বিতীয় মামলা যেখানে তিন তালাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে এই পাহেদিতেই শ্বশুর বাড়ির লোকের হাতে নির্যাতনের শিকার হন আকিলা।তাঁকে তালাক দেন স্বামী শাহিদ।গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আকিলাকে তালাক দেওয়া হয়। এরপর ৩ মার্চ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।কেন্দ্রের মোদী সরকার দেশে তিন তালাক বন্ধের জন্য আইন পাশ করেছে।কিন্তু তারপরও সমাজে এই ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে, যা প্রশাসনের কাছে চিন্তার কারণ।