দিল্লতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন বিনা অ্যাপয়েন্টমেন্টে তিনি সলিসিটর জেনারেলের বাসভবনে পৌঁছে যান। অবশ্য তাঁকে তুষার মেহতার বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীরা ঢুকতে দেননি। পরে তিনি কিছু কাগজ রক্ষীর হাতে তুলে দিয়ে চলে যান সেখান থেকে।
উল্লেখ্য, এর কেকদিন আগেই তুষার মেহতার বাড়িতে গিয়েছিলেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তুষার মেহতা এবং শুভেন্দুবাবু দুই জনেই পরে জানান যে তাঁরা দেখা করেননি। তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা জারি রয়েছে। কারণ শুভেন্দুবাবু নিজে নারদ কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। এবং সেই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এদিকে তুষার মেহতা সলিসিটর জেনারেল হিসেবে সিবিআই-এর আইনজীবী।
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যাতে সলিসিটর জেনারেল পদ থেকে তুষার মেহতা অপসারণ করা হয়। এই ঘটনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও আক্রমণ শানিয়েছেন। কুণাল ঘোষও প্রথম থেকে এই ঘটনায় শুভেন্দু এবং তুষার মেহতাকে তোপ দেগে আসছেন।
এর আগে তুষার মেহতা টুইট করে লিখেছিলেন, 'শুভেন্দু অধিকারী আমার বাড়িতে এসেছিলেন দুপুর তিনটে নাগাদ। তবে তিনি আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আসেননি। এদিকে আমি পূর্ব নির্ধারিত একটি বৈঠকে সেই সময় ছিলাম নিজের চেম্বারে। তখন আমার স্টাফ তাঁকে ওয়েটিং রুমে বসিয়ে চা পরিবেশন করেন।'
এর জবাবে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের পালটা প্রশ্ন, ‘শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করতে না পারায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন সলিসিটর জেনারেল। কিন্তু প্রশ্ন হল, শুভেন্দুকে সেখানে ঢোকার অনুমতি কে দিল? তিনি ভিতরে ঢুকলেন কীভাবে?’