নয়াদিল্লিতে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধীকে বলতে শোনা যায়, এই সরকারের নাম বেচারাম সরকার। কারণ রেল থেকে বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ থেকে কয়লা—দেশের বহু সম্পদ বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছে মোদী সরকার। এই নিয়ে তীব্র সুর চড়াতে শুরু করেছেন দেশের তাবড় বিরোধীরা। এবার তাতে সরাসরি যুক্ত হয়ে তোপ দাগল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় অভিযোগ করেন, এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে মানিটাইজেশন পাইপলাইন। এমনকী লগ্নির লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৬ লক্ষ কোটি টাকা। এই পাইপলাইনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে বন্দর, হেরিটেজ টয় ট্রেন, সল্টলেক স্টেডিয়াম সাই কমপ্লেক্স। অথচ তা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি সংসদে।
এই বেসরকারিকরণ নিয়ে সুখেন্দুশেখর রায় অভিযোগ তোলেন, ‘মানিটাইজেশন পলিসি নিয়ে কোনওরকম সংসদে আলোচনা হয়নি। বিজেপির ইস্তেহারে উল্লেখ ছিল না। এমনকী সংসদীয় কমিটিতেও এই বিষয়ে আলোচনা হয়নি। আমরা নীতি আয়োগের ওয়েবসাইট থেকে খুঁজে বের করেছি। পাইপলাইন সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া রয়েছে। আগে কখনও জানায়নি এই ধরনের ব্যাপক আর্থিক সংস্কারের পথে তাঁরা যাবেন। মোদী সরকারের এই আর্থিক নীতি তৃণমূল কংগ্রেস মানবে না। কারণ এতে জনগণের সায় নেই।’
সাংবাদিক বৈঠকে সুখেন্দু শেখর রায় বলেন মোদী সরকার এই পদ্ধতির মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তিকে দিচ্ছে। সুখেন্দুশেখর রায় সাংবাদিক বৈঠক থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে এই দেশের কোন সম্পত্তি নিজের থাকবে না এটা হতে পারে না। সরকার জনগণের জন্য কাজ করছে না। কর্পোরেট পলিসিকে সুবিধা দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এই ধরনের আর্থিক সংস্কারের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ পর পর ভ্রান্তনীতি নিয়ে এসে তাঁরা দেশে বিপর্যয় ডেকে এনেছেন। সুখেন্দুবাবু বলেন যে ২০-২৫ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হচ্ছে সম্পত্তি, এরপর সেটা পূণর্নবীকরণের সুযোগ আছে। এতে কিছু শিল্পপতির হাতেই সব ক্ষমতা ও সম্পদ জমা হয়ে যাবে বলে তৃণমূলের আশঙ্কা।