আজ ত্রিপুরায় যাওয়ার কর্মসূচি ছিল তাঁর। যাচ্ছেনও তিনি। শুধু সেখানের পরিস্থিতি একটু বদলে গিয়েছে। এমনকী উত্তাল হয়ে উঠেছে এই উত্তর–পূর্বের রাজ্য। এই উত্তেজনার মধ্যেই তিনি যাচ্ছেন। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, রবিবার ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের নিয়োগ নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য। দফায় দফায় বিক্ষোভে চাপে পড়েছে বিপ্লব দেবের সরকার। এই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে যুবসমাজ। এই অগ্নিগর্ভ অবস্থাতেই অভিষেকের সফর পৃথক মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এমনটা যে ঘটবে তা আগে ঠিক ছিল না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি আগে থেকেই ঠিক ছিল। সেখানে উত্তপ্ত ত্রিপুরা তাঁকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে। আর তিনি যদি কোনও সভা–সমাবেশ করেন তাহলে সেটা হবে বিপ্লব দেবের উপর বাড়তি চাপ। তাঁর এবারের কর্মসূচি ছিল, বিজেপির হাতে আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বাড়িতে যাওয়া। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ এবং পরে নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা। ত্রিপুরা স্টিয়ারিং কমিটির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।
ঠিক কী ঘটেছে ত্রিপুরায়? জানা গিয়েছে, ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসে কর্মী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। আর সেই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে নেমেছেন চাকরি প্রার্থীরা। পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ জারি রেখে দাবি তুলেছেন, প্রত্যেকের লিখিত পরীক্ষা, মেডিক্যাল, শারীরিক সক্ষমতা এবং মৌখিক পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে চাকরি প্রার্থীদের পাশে গিয়ে অভিষেক দেখা করবেন কিনা সেটা ঠিক হয়নি।
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন শক্তি দেববর্মা, স্বপন দেববর্মা–সহ উপজাতিদের সংগঠন আইপিএফটি’র বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর হামলা অন্যদিকে নিয়োগ দুর্ণীতিতে তপ্ত ত্রিপুরায় অভিষেক কি পদক্ষেপ করেন সেটাই দেখার।