গতকালই ‘কালী মন্তব্যে’র জেরে দলের নিন্দার মুখে পড়েছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এরপর দেখা যায় আজকে তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘ফলো’ করছেন না মহুয়া মৈত্র। এই নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমসের তরফে। সাংসদের ‘আনফলো’ নিয়ে সাকেল এইচটি-কে বলেন, ‘আমাদের পাবলিক টুইটার অ্যাকাউন্টে আমাদের লক্ষ লক্ষ অনুসরণকারী রয়েছে, কে আমাদের ফলো করেছে বা আনফলো করেছে তার উপর আমরা নজর রাখি না... পার্টি পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন নয়।’ পাশাপাশি ফের একবার বলেন যে মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যগুলি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত এবং তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে না।
সম্প্রতি ডকুমেন্ট্রি ফিল্মমেকার লীনা মানিমেকালাইয়ের ‘কালী’ সিনেমার ‘অবমাননাকর’ পোস্টার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পোস্টারে মা কালীর বেশে এক মহিলাকে দেখা গিয়েছে। এই আবহে মঙ্গলবার এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে ‘কালী’ সিনেমার পোস্টার বিতর্ক নিয়ে মহুয়াকে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে তিনি দাবি করেন, নিজের দেবদেবীকে কীভাবে দেখবেন, সেটা ব্যক্তিগত বিষয়। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘আপনি যদি ভুটানে যান, বা সিকিমে যান, তাঁরা সকালে পুজোর সময় দেবদেবীকে হুইস্কি দেন। এবার আপনি যদি উত্তরপ্রদেশে গিয়ে বলেন যে ভগবানকে প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি দিচ্ছেন, তাহলে তাঁরা সেটাকে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত বলবেন।’
মহুয়ার এই বিতর্কের পরই বিতর্ক দানা বাঁধে। আর এরপর দল জানিয়ে দেয় যে তারা মহুয়ার পাশে নেই মঙ্গলার তৃণমূলের তরফে টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ইস্টে মহুয়া মৈত্র যে মতামত প্রকাশ করেছেন, তা সম্পূর্ণভাবে তাঁর ব্যক্তিগত মত। কোনওরকমভাবে সেই মন্তব্যকে সমর্থন করে না দল। এরকম মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।’ এই আবহে আজ দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘ফলো’ করছেন না মহুয়া মৈত্র। তবে মহুয়া এখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুইটারে ‘ফলো’ করছেন। এদিকে এই বিষয়ে মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা করা সম্ভব হয়নি।