বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় আগাম মুক্তি পেয়েছিলেন সাজাপ্রাপ্তরা। এবার সেই মামলার সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি সংক্রান্ত ফাইল চেয়ে পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সূত্রের খবর, কেন্দ্র ও গুজরাট সরকার এনিয়ে এবার আদালতে চ্য়ালেঞ্জের পথে হাঁটবে।
সরকারের তরফে গোটা বিষয়টিকে প্রিভিলেজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১১জন সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তি দেওয়া নিয়ে কোনও তথ্য় পেশ করতে আসলে রাজি নয় সরকার।
গত বছর নভেম্বর মাসে বিলকিস বানো এনিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন। সাজাপ্রাপ্তদের এভাবে আগাম মুক্তি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন এভাবে তাদের ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা গোটা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর দাবি ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গায় পরিবারের সাতজন সদস্যকে খুন করা হয়েছিল। তার মধ্যে তার তিন বছরের মেয়েও ছিল।
এদিকে গত ২৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছিল ১১জনকে আগাম মুক্তি সংক্রান্ত ফাইলটা তাদের দেখাতে হবে। বিচারপতি কেএম যোশেফ ও বিভি নাগারত্ন এভাবে ১১জনকে আগাম মুক্তি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, এই ঘটনার গুরুত্ব সরকারের বোঝা দরকার ছিল।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, একজন গর্ভবতী মহিলাকে গণধর্ষণ করা হল। কয়েকজন মিলে খুন করা হল। এই ঘটনাকে সাধারণ ৩০২এর সঙ্গে তুলনা করতে পারেন না। আপেলের সঙ্গে কি লেবুর তুলনা করতে পারেন! একজনের খুনের সঙ্গে গণহত্যার তুলনা চলে না। ক্রাইম সমাজের বিরুদ্ধে হয়।
আদালত জানিয়েছিল, প্রশ্নটা হচ্ছে সরকার যখন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখন কি তারা চিন্তাভাবনা করেছিল? আর এভাবে মুক্তি দেওয়ার পেছনে ঠিক কী থাকতে পারে? আজ বিলকিসের বেলায় এই ঘটনা হয়েছে কাল অন্য কারোর বেলায় এটা হতে পারে। এটা আপনার ক্ষেত্রে হতে পারে, আমার বেলায় হতে পারে। আপনি যদি আপনার সিদ্ধান্ত জানাতে না পারেন তবে আমরাও আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব। এদিকে এই মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে একাধিক আবেদন করা হয়েছে। তারই শুনানি শুরু হয়েছে এবার।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup