নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র শীর্ষ নেতা কটকম সুদর্শনের মৃত্যু হল। জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে সুদর্শনের। সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সুদর্শনের। মৃত্যুর পর তার শবদেহ মাওবাদীদের লাল পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, প্রয়াত সুদর্শনের মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। মাওবাদীদের পলিটব্যুরো সদস্য ছিল সুদর্শন। শেষ পর্যন্ত শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছত্তিশগড়ের জঙ্গলেই মৃত্যু হয় এই মাও নেতার। অবশ্য তার মৃত্যুর খবর আজ প্রকাশ্যে এলেও ৩১ মে সে মারা যায় বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে কিষেণজির মৃত্যুর পর থেকে মাওবাদী পার্টির ১৪ সদস্যের পলিটব্যুরোর মাথায় ছিল সুদর্শন। বিগত একদশক ধরে দেশে নকশাল আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করেছে সুদর্শনই। ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া এলাকা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলাঙ্গানা জুড়ে মাওবাদী অপারেশনের দায়িত্ব ছিল সুদর্শন। সুদর্শনের বিরুদ্ধে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলাঙ্গানায় ২১টি মামলা ছিল। এর মধ্যে অধিকাংশ মামলাই খুনের। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় রুজু করা হয়েছিল এই মামলাগুলি। কয়েক বছর আগে সুদর্শনের স্ত্রী তথা আদিলাবাদ জেলায় মাওবাদী পার্টির সচিব সাধনা পুলিশি এনকাউন্টারে মারা গিয়েছিল।
জানা যায়, বর্তমান তেলাঙ্গানার আদিলাবাদ জেলার বেল্লামপল্লিতে জন্ম নিয়েছিল সুদর্শন। ওয়ারাঙ্গলে পলিটেকনিকে পড়াশোনা সম্পন্ন করে সে। এরপরই ১৯৮০-র দশকে পিপলস ওয়ার গ্রুপে যোগ দিয়েছিল সে। উত্তর তেলাঙ্গানায় আদিবাসীদের অধিকারের লড়াইয়ে সামিল হতেই নকশাল আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল সুদর্শন। সংগঠনের সচিব হিসেবে নকশাল আন্দোলনকে উত্তর তেলাঙ্গানা থেকে ছত্তিশগড়ের দণ্ডকারণ্য এলাকায় ছড়িয়ে দিয়েছিল। ২০১১ সালে দান্তেওয়াড়ায় ৭০ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে খুন করার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিল এই সুদর্শন। ২০১৩ সালে ছত্তিশগড় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের খতম করার নেপথ্যেও ছিল সুদর্শন।