ত্রিপুরায় আগামী ২৪ জুন চারটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করল সিপিএম। সিপিএম সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনল। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ চেয়েছে সিপিএম। এর আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার বিরুদ্ধেও আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিল সিপিএম।
একটি স্থানীয় বাংলা দৈনিক 'সিয়ানন্দন পত্রিকা'-তে প্রকাশিত একটি খবর তুলে ধরে সিপিএম। রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ ৩১ মে ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত হতে চলা MGNREGA এবং UJJWALA প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের বিষয়ে আম জনতার সঙ্গে মোদীর ভার্চুয়াল সাক্ষাতের কথা। সেই অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য সিপিএম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অনুরোধ করে৷
এই নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে পাঠানো এক চিঠিতে সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী লেখেন, ‘এই প্রোগ্রামটি চালু করার মাধ্যমে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে আদর্শ আচরণ বিধির লঙ্ঘন করছেন। 'পার্টি ইন পাওয়ার' শিরোনামের অধীনে ধারা VII-এর অনুচ্ছেদ ৪ লঙ্ঘন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যা স্পষ্টতই 'অফিসিয়াল মিডিয়ার অপব্যবহার'। দেশের সর্বোচ্চ মর্যাদাবান ব্যক্তি যদি গণতান্ত্রিক চর্চার ন্যূনতম রীতিনীতি লঙ্ঘন করেন, তাহলে দেশে তথাকথিত গণতন্ত্রের আর কী অবশিষ্ট থাকে?’
বাম নেতার আরও অভিযোগ, সংবাপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) রাজ্যের সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ভার্চুয়াল প্রোগ্রামটি বিস্তৃত ভাবে সম্প্রচারের জন্য বলেছে। লোকেরা যাতে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিশাল স্ক্রিনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সরকারি যন্ত্রপাতি, জেলা প্রশাসন এবং সরকারি মিডিয়াকে ক্ষমতাসীন বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
এর আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ করেছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ত্রিপুরার মুখ্যন্ত্রীর কাছে শোকজ নোটিশও পাঠায় নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, সিপিএম-এর অভিযোগ ছিল সরকারি গাড়ি নির্বাচনী প্রচারের কাজে ব্যবহার করে আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এর প্রেক্ষিতে রবিবারের নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি সফর আর নির্বাচনী প্রচার দুটো একসঙ্গে কোনও মন্ত্রী করতে পারবেন না। রাজনৈতিক কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। পথে কোনও পার্টি অফিস পড়লেও তাতেও সরকারি গাড়িতে চেপে যাওয়া যাবে না।