পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ‘পুরনো’ হয়ে গেল ‘নয়া’ মুখ। বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন বিপ্লব দেব। আগামী বছরেই সেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট হতে চলেছে। তিনি জানান, সংগঠন থাকলে তবেই তো সরকার থাকবে।
শনিবার রাজ্যপালকে পাঠানো ইস্তফাপত্রে মাত্র একটি লাইন লেখেন বিপ্লব। লেখেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। ’ পরে অবশ্য বিপ্লব স্পষ্ট করে দেন, বিজেপির শীর্ষ মহলের নেতৃত্বেই বিধানসভা ভোটের ১০ মাস আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। এবার সংগঠনের কাজ করবেন।
বিপ্লব বলেন, ‘আমি বিজেপির ন্যায়নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা। আশা করি, আমায় যে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেই পদে থেকে ত্রিপুরার মানুষকে ন্যায় প্রদান করেছি। এখন পার্টি চাইছে যে সংগঠনের কাজ করি। সংগঠন থাকলে তবেই সরকার থাকবে। দীর্ঘ সময় আমার মতো কর্মকর্তা কাজ করলে সরকার দীর্ঘ সময় থাকবে।' সেইসঙ্গে বিপ্লব বলেন, 'প্রত্যেকের কাজের একটি নির্ধারিত সময় থাকে।’
সূত্রের খবর, আগামিকাল (সোমবার, ১৫ মে) অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে উড়ে যাবেন বিপ্লব। তার আগেই নয়া নেতা বেছে নিতে আজ বিকেল পাঁচটায় বৈঠকে বসছে বিজেপির পরিষদীয় দল। একাধিক নাম নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে বলে একটি মহলের তরফে দাবি করা হচ্ছে।
কিন্তু কেন বিধানসভা ভোটের আগেই সরে যেতে হল বিপ্লবকে?
রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, ত্রিপুরায় যেভাবে বিজেপি চলছিল, তাতে খুশি ছিল না শীর্ষ নেতৃত্ব। বিপ্লবের বিরুদ্ধে দলের অন্দর থেকেই ক্ষোভ শোনা যাচ্ছিল। সেই পরিস্থিতিতে সম্ভবত বিপ্লবকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে একটি মহলের তরফে দাবি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ধর্মে আঘাত করার অভিযোগ, কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জশিট ত্রিপুরা পুলিশের
যদিও বিষয়টি নিয়ে বিজেপির তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, 'আমরা বিষয়টি শুনেছি। প্রতিক্রিয়া দেওয়ার মতো বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে সেরকম কোনও তথ্য নেই। বিজেপি সভাপতির সঙ্গে কথা বলে আপনাদের জানাব।'