করোনার বাড়বাড়ন্তের মাঝে এবার লকডাউনের পথে হাঁটল ত্রিপুরা সরকার। এদিন ঘোষণা করে জানিয়ে দেওয়া হয় সোমবার, অর্থাত্ ১৭ মে ভোর ৫টা থেকে আগামী ১০ দিন লকডাউন থাকবে ত্রিপুরায়।
বর্তমানে পশ্চিম জেলায় ২২৬৩টি সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন। এজের মধ্যে ৬৫.৬৬ শতাংশ অর্থাত্ ১ হাজার ৪৮৬ জনই আগরতলার বাসিন্দা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয় যে শনিবার রাজ্যের পজিটিভিটির হার ৯.২৫ শতাংশ ছিল।
পশ্চিম জেলার রণিরবাজার নগর পঞ্চায়েত, নাগিচেরা ও বিএসএফ পাড়া, উত্তর জেলার পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত, উনাকোটি জেলার কৈলাসহর পৌরসভা, উদয়পুর পৌর কাউন্সিল এবং গোমতী জেলার অমরপুর নগর পঞ্চায়েত, সিপাহিজালার বিগলগড় পৌরসভা এলাকাগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তবে এই লকডাউন চলাকালীন মুদি, শাকসবজি, ফলমূল ও মাছ এবং মাংসের দোকান ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে বলে জানানো হয়েছে। লকডাউন প্রসঙ্গে রাজ্যের আইন মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, 'পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার পরে, আমরা ১৭ থেকে ২৬ মে সকাল পর্যন্ত করোনার কার্ফু আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সবাইকে সচেতন হওয়ার এবং কোভিডের নির্দেশিকা অনুসরণ করার জন্য আবেদন করছি। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়।'
এদিকে যানবাহন চলাচল, ব্যাঙ্ক, অফিস, প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদানকরী, চিকিত্সা, হাসপাতালকে কার্ফু থেকে ছাড় দেওয়া হবে। এছাড়া এই সময়ে কোনও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ২০ জন এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন।