গত মাসে ত্রিপুরায় ধর্মীয় স্থানে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময়কালে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে সফররত দুই সাংবাদিক নাকি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ প্রচার করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি-ভিত্তিক দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ত্রিপুরা পুলিশ। জানা গিয়েছে পুলিশের দায়ের করা অভিযোগে নাম রয়েছে সমৃদ্ধি কে সাকুনিয়া এবং স্বর্ণা ঝা নামক দুই সাংবাদিকের। দিল্লি ভিত্তিক একটি নিউজ চ্যানেলের জন্য কাজ করেন এই দুই সাংবাদিক। ত্রিপুরায় সহিংসতার ঘটনার গ্রাউন্ড রিপোর্টের জন্য তাঁরা রাজ্যে এসেছিলেন।
সমৃদ্ধি 'আর্টিকেল ১৪' নামক একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করা একটি ভিডিয়োতে বলেন, 'আমরা ত্রিপুরায় কি ঘটছে তা নিয়ে গ্রাউন্ড রিপোর্টিংয়ের জন্য ত্রিপুরায় এসেছি। আমরা গতকাল উনাকোটি জেলায় গিয়েছিলাম। আমরা নিরাপত্তা চেয়ে আগে পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম। আমরা তাদের জানিয়েছিলাম যে আমরা রিপোর্ট করতে এসেছি। আমাদের পালবাজার এবং চৌমুহনি বাজার কভার করতে হয়েছিল। পুলিশ ছিল। যখন আমরা পাল বাজার এবং চৌমুহনিতে ছিলাম, সেই পুরো সময় পুলিশ আমাদের সঙ্গে ছিল।'
সমৃদ্ধি টুইট করে লেখেন, 'পুলিশ গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে হোটেলে পৌঁছায় এবং পরে ভোর সাড়ে ৫টায় এফআইআর কপি পেশ করে। আমাদের রাজধানী আগরতলার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সর্বাত্মক সহযোগিতা সত্ত্বেও আমাদের আটকে দেওয়া হয়। আমাদের হোটেলের বাইরে প্রায় ১৬ থেকে ১৭ জন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।'
তিনি আরও জানান যে উত্তর জেলার ধর্মনগরে এক পুলিশ অফিসার তাঁদের কাছ থেকে তাঁদের ভ্রমণের বিবরণ জানতে চেয়ে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেন যে পুলিশ ইতিমধ্যেই তাদের আধার কার্ড নিয়ে গিয়েছে। সমৃদ্ধি বলেন, 'আমারা আইনজীবীদের সাথে আলোচনার পর, আমাদের পরিবহণের বিবরণ পুলিশকে দিয়েছি। গত রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমরা ১২ থেকে ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করি। কিন্তু তাঁরা আমাদের কিছু জানায়নি। যখন আমরা চেক আউট করতে যাচ্ছিলাম তখন আমাদের পুলিশ জানায় যে আমাদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।' তিনি জানান পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে।