ভারত-পাকিস্তানের শান্তি ফেরাতে মধ্যস্থতাকারী সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। এমনটাই বলছেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা।
ফেব্রুয়ারি ২০২১। সবাইকে অবাক করে ফের ২০০৩ যুদ্ধবিরতি চুক্তি লাগু করে ভারত ও পাকিস্তান। তারপর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। পরের দিনই ভারত সফরে আসেন সংযুক্ত আরবের বিদেশমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা বিন জায়েদ। একদিনের সফরে দিল্লিতে বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। পুরো ব্যাপারটা মোটেও কাকতালীয় নয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সূত্রের খবর, আদতে এই শান্তি প্রক্রিয়ার আলোচনা শুরু হয় বেশ কয়েক মাস আগে। আর তার মধ্যস্থতাকারীর আসনে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। সরকারি আধিকারিকদের দাবি, এই যুদ্ধবিরতী আসলে শান্তি পরিকল্পনার কণামাত্র। ভবিষ্যতেও যাতে দুই পরমাণু-শক্তিধর দেশের মধ্যে শান্তি বজায় থাকে, সেটাই আসল লক্ষ্য।
শুধু তাই নয়। আবার ভারত-পাকিস্তান পরস্পরের দেশে রাষ্ট্রদূত পাঠাবে বলে জানা গিয়েছে। গত ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লি থেকে রাষ্ট্রদূত ফিরিয়ে নেয় যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তান।
গত মাসেই পাকিস্তানের সেনা প্রধান জাভেদ বাজওয়া ভারত-পাকিস্তান শান্তির পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, 'অতীত ভুলে দুই দেশের একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়া উচিত্।' প্রয়োজনে পাকিস্তান অমীমাংসিত যে কোনও বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
একই সুর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গলায়। ভারতের সঙ্গে শান্তি ফেরানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। অন্যদিকে গত সপ্তাহে শনিবার ইমরান করোনা আক্রান্ত হন। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের ত্রিকোণ বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন নয়। তবে, বর্তমান শাসন শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহইয়ানের নেতৃত্বে আরও বেড়েছে মধ্যস্থতার উত্সাহ।