বাবার হাতে গড়ে ওঠা দল হাতছাড়া হয়েছে। এই আবহে যেন বাবা বালাসাহেব ঠাকরের ভঙ্গিতেই প্রতিপক্ষকে আক্রমণ শানাতে দেখা গেল উদ্ধব ঠাকরেকে। রবিবার ফের একবার নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ শানিয়ে উদ্ধব বলেন, 'ক্ষমতায় যারা রয়েছে, নির্বাচন কমিশন বর্তমানে তাদের দাস হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন কখনওই আমার দলকে কেড়ে নিতে পারে না। এই দল নির্বাচন কমিশনের বাবা তৈরি করেনি, আমার বাবা প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরে তৈরি করেছিলেন। বালাসাহেব ঠাকরে সেই সময় ভারতীয় জনতা পার্টির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় বিজেপিকে সবাই রাজনৈতিকভাবে অচ্ছুৎ মনে করত। যদি আপনাদের সাহস থাকে, তবে বালাসাহেবের নাম না নিয়ে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে মহারাষ্ট্রে ভোট চেয়ে দেখান।' (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে ‘আর্থিক ভাবে’ দাঁড়ানোর বার্তা, কী বললেন শুভেন্দু?)
এরপর উদ্ধব অভিযোগ করেন, 'সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করেছিলেন। বিজেপি সেই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে চুরি করে নিল। সুভাষচন্দ্র বসুকে চুরি করে নিল। এখন আমার বাবা বালাসাহেব ঠাকরেকে চুরি করতে চাইছে।' এরপর বিজেপির 'কট্টর হিন্দুত্ববাদী' মতমাবকে আক্রমণ শানিয়ে উদ্ধব বলেন, 'আমাদের দেশ কি গোমূত্র ছিটিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছিল? ব্যাপারটা এমন ছিল না। স্বাধীনতা সংগ্রামীরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আর তাই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।'
আরও পড়ুন: 'রাজ্যে ১০৫ শতাংশ ডিএ দেওয়া হচ্ছে', আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়তেই হিসেব বোঝালেন মমতা
উদ্ধব বলেন, 'অমিত শাহ পুনেতে বলেছিলেন যে আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য কংগ্রেস এবং এনসিপির জুতো চেটেছি। এখন মেঘালয়ে কি করছেন তাঁরা? আপনাদের কি লজ্জা নেই? অমিত শাহ মেঘালয়ের প্রচারের সময় অনেক কথা বলেছিলেন। কনরাড সাংমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। অমিত শাহ বলেছিলেন, সাংমার পরিবার রাজ্যের মালিক। গরিবের টাকা খায় তাঁরা। তিনি দাবি করেছিলেন, মেঘালয়ে দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য সরকার রয়েছে। যেদিন ফলাফল বের হল, প্রধানমন্ত্রী মোদী সাংমাকে সমর্থন ঘোষণা করে দিলেন।' এরপর পরিবারতন্ত্র প্রসঙ্গে উদ্ধব বিজেপিকে পালটা তোপ দেগে বলেন, 'বিজেপি স্বজনপ্রীতির কথা বলে। আমি তাদের বলি হ্যাঁ, আমি বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে। আমার পরিবার ছয় প্রজন্ম ধরে মহারাষ্ট্রের সেবা করে আসছে। বাবার ছবি চুরি না করে মোদীর ছবি লাগিয়ে নির্বাচনে লড়ুন।'