এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুম্বই সফরকালে অসুস্থতার কারণে দেখা করতে পারেননি উদ্ধব ঠাকরে। সেবার মমতার সঙ্গে শিবসেনার তরফে দেখা করেছিলেন সঞ্জয় রাউত এবং উদ্ধব-পুত্র তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে। আর এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ছক কষতে দিল্লির কনস্টিটিশন ক্লাবে ডাকা মমতার বৈঠকেও উপস্থিত থাকতে পারবেন না মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। কারণ এবার তিনি অযোধ্যা সফরে থাকবেন।
সঞ্জয় রাউত এই বিষয়ে বলেন, ‘উদ্ধবজি ১৫ জুন দিল্লিতে বৈঠকের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আমরা সে সময় অযোধ্যায় থাকায় আমাদের দলের একজন বিশিষ্ট নেতা বৈঠকে অংশ নেবেন।’ উল্লেখ্য, শিবসেনার মুখপত্র সামনায় বহু সময়ই মমতার প্রশংসায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আবার কংগ্রেস ছাড়া তৃতীয় ফ্রন্ট গড়া যে সম্ভব নয়, সে কথাও শিবসেনা বারবারই বলেছে। এই আবহে রাম জন্মভূমি সফরের জন্য মমতার সফরে থাকতে পারছেন না উদ্ধব।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আবহে বিরোধী শক্তিদের এককাট্টা করতে উদ্যোগী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আগামী ১৫ জুন দিল্লিতে এনিয়ে যৌথ বৈঠক হতে পারে। সেখানে মূখ্য ভূমিকা নিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে আসতেই বিবৃতি প্রকাশ করল কংগ্রেস। বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলোকে একজোট করতে বিভিন্ন দলের ২২ নেতাকে চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের মধ্যে বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরাও রয়েছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি লিখেছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে চিঠি গিয়েছে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের কাছেও। এদিকে সোনিয়া আজই হাসপাতালে ভর্তি হলেন কোভিড জটিলতার কারণে। এই আবহে তিনিও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।