একাধিক ব্রিটিশ নাগরিক আফগানিস্তানে আটক হয়ে রয়েছেন বলে জানাল ব্রিটেন। সংবাদসংস্থা এএফপিকে দেওয়া বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রক। যে সমস্ত ব্রিটেনের নাগরিক আটক রয়েছেন আফগানিস্তানে তাঁদের মধ্যে একজন প্রাক্তন বিবিসি সাংবাদিকও রয়েছেন বলে খবর। ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, 'যে সমস্ত নাগরিকরা আফগানিস্তানে আটক রয়েছেন তাঁদের পরিবারকে সমর্থন যোগাচ্ছি আমরা।'
জানা গিয়েছে, তালিবানের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ব্রিটেন। চলতি সপ্তাহেই তালিবানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে কাবুল উড়ে যান ব্রিটিশ কূটনীতিবিদ হুডো শর্টার। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে ইউকের তরফে 'মিশন'এর নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি। আর তাঁর ওপরেই দায়িত্ব রয়েছে নিরাপদে ব্রিটিশ নাগরিকদের ঘরে ফেরানোর। পশ্চিমী মিডিয়া হাউসগুলির খবর অনুযায়ী, অন্ততপক্ষে ৬ জন ব্রিটিশ নাগরিক বন্দি ছিলেন আফগানিস্তানে। এরমধ্যে বিবিসির প্রাক্তন সাংবাদিক অন্ড্রিউ নর্থও ছিলেন। তবে সদ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সাংবাদিক তথা ব্যবসায়ী পিটার জোভেনালও এই আটকদের তালিকায় ছিলেন।
তবে পিটার জোভেনাল একজন জার্মান। তিনি বিবাহসূত্রে যুক্ত আফগানিস্তানে। এক আফগান মহিলার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। জানা যায়, তিনি আফগানিস্তানে খনিগুলিতে একটি ব্যবসায়িক বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন বাণিজ্যিক উদ্দেশে। তারপরই তিনি আটক হয়েছিলেন বলে খবর। জানা যায়, তাঁকে কোনও অভিযোগ ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি তাঁর পরিবার বা আইনজীবীর সঙ্গেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি। জানা যায়, পিটারের আটক হওয়ার আগে তিনি বহু তালিবান নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এদিকে, আফগানিস্তানে এই বিদেশী নাগরিকদের কবে থেকে বন্দি করা হয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। আফগান মুখপাত্র জানিয়েছেন, অনেকের কাছে বৈধ পরিচয় পত্র না থাকার কারণেই এই আটক। এদিকে, খবর গত অগাস্টে কাবুলের দখল নেওয়ার পরই নিজেদের সমালোচকদের কণ্ঠরোধ করতে শুরু করে তালিবানরা। সেই সময় থেকে অনেককেই আটক করে তারা।