ইন্ডিপেন্ডেন্টেের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত লাফিং গ্যাস নেওয়ার জেরে এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। ওই গ্য়াস তাকে দিয়েছিল তারই বয়ফ্রেন্ড। তার শরীরের সুরতহালের পরে মোটামুটি যেটা জানা যাচ্ছে যে তিনি দুটি থেকে তিনটি লাফিং গ্য়াসের বড় বোতলের সবটা নিয়েছিলেন। এরপরই তার মৃত্যু হয়।
ইউকের বার্কসায়ার করোনার্সের কোর্টে বলা হয়েছে, ২৪ বছর বয়সি ওই তরুণী ৯ ফেব্রুয়ারি এমার্জেন্সি লাইনে ফোন করেছিলেন। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি ভালো করে চলাফেরা করতে পারছেন না। মনে হচ্ছে যেন তিনি উলটে পড়়ে যাবেন। ওয়েক্সহ্যাম পার্ক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু ১০ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় তার।
এদিকে তদন্তে জানা যায় যে ওই তরুণী নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাস খেয়ে ফেলেছিলেন। তার জেরেই মৃত্যু হয় তার। এটা সাধারণত লাফিং গ্যাস বলে পরিচিত। সেই গ্য়াস তার শরীরের ভেতর চলে গিয়েছিল। তার জেরে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর একাধিক কারণের মধ্য়ে অন্যতম হল নাইট্রাস অক্সাইডের দীর্ঘকালীন ব্যবহার করা হয়েছিল, যার জেরে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর।
এদিকে এমার্জেন্সি ফোন পাওয়ার পরে যে ব্যক্তি ওই তরুণীর কাছে গিয়েছিলেন অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে, তিনি জানিয়েছিলেন, ওই তরুণীর বয়ফ্রেন্ড তাঁকে বেডরুমে নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে ওই মহিলা জানিয়েছেন, আমি দেখলাম বিছানায় কোনও বেডশিট ছিল না। তবে তিনি জানিয়েছেন ওই তরুণী ভালোভাবেই কথা বলছিলেন। কিন্তু তার হৃদস্পন্দন ক্রমেই বাড়ছিল। মার্শার জানিয়েছিলেন, একটি গ্যাস ক্যানিস্টার তার পায়ে লেগেছিল। তার জেরে তার পা কেটে যায়। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, মনে হচ্ছিল ওই তরুণী ৬ মাসের গর্ভবতী।
ওই গ্যাস ভর্তি ক্যানিস্টারগুলি তার বয়ফ্রেন্ড দিয়েছিল। বয়ফ্রেন্ড জানিয়েছেন, তার প্রেমিকা দিনে দুটি তিনটি করে ক্য়ানিস্টার ভর্তি গ্যাস নিত। তবে বর্তমানে সেটা কিছুটা কমিয়ে দিয়েছিল।
তবে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে এই গ্য়াসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। কারণ এই গ্য়াসকে ক্লাস সি মাদক বলে উল্লেখ করা হয়।