চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ১০ বছরেরও বেশি সময় পর ফের ফাইনালে পৌঁছল জার্মান ক্লাব দলটি । চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে জোড়া লেগেই পিএসজিকে হারিয়ে দিল ডর্টমুন্ড। দুই লিগেই জার্মান দলটির অনুকূলে ফল ১-০। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরুর আগে অবশ্য কেউই এই দলকে ধর্তব্যের মধ্যে রাখেননি। কারণ কেউ আশাই করতে পারেনি নিকলাস ফুলক্রুগ, ম্যাট হামেলসদের দল ফাইনালে পৌঁছাবে। ১১ বছর আগে ২৫ মে, ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। সেবার জার্মানির আরেক দল বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হারতে হয়েছিল ফাইনালে। সেবারও য়ুরগেন ক্লপের কোচিংয়ে সেমিফাইনালে জায়ান্ট কিল করেছিল বরুশিয়া, হারিয়েছিল তৎকালীন অন্যতম সেরা দল রিয়াল মাদ্রিদকে। এবারও তাঁরা হারিয়ে দিল হেভিওয়েট প্যারিস সেন্ট জার্মেইন দলকে, যারা এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালেই হারিয়েছিল স্প্যানিশ দল বার্সেলোনাকে।
আরও পড়ুন-La Liga-বার্সেলোনা হারতেই রিয়ালের দখলে লা লিগা, টার্গেট এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
কিলিয়ান এমবাপে, উসমান ডেম্বেলে, ভিতিনহারা প্রত্যেকেই মাঠে ছিলেন। কিন্তু প্রথম লেগের পিছিয়ে থাকা ব্যবধান মেটাতে পারলেন না পিএসজির ফুটবলাররা। মাঝখান থেকে দ্বিতীয় লেগেও ১-০ হেরে বসলেন তাঁরা। অবশ্য এক্ষেত্রে ভাগ্য সহায় ছিল না বলাই যায়, কারণ চার বার অবধারিত গোল বার পোস্টে লেগে প্রতিহত হল। ৪৭ মিনিটে পিএসজির এমেরির শট ক্রসপিসে লাগে। এর তিন মিনিটের মধ্যেই দ্বিতীয় লেগে বরুশিয়াকে কাঙ্খিত গোল এনে দেন ম্যাট হামেলস। কর্নার থেকে ভাসানো বলে গোল করে যান জার্মানির এই ডিফেন্ডার। গোল খেয়ে আরও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে লুইস এনরিকের ছেলেরা। কিন্তু ৬১ মিনিটে পিএসজির মেন্ডেলের শট ফের বারে লাগে।
আরও পড়ুন-Paris Olympics- 4x400 মিটার দৌড়ে অলিম্পিক্সের টিকিট হাতে পেল ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা অ্যাথলিটরা
ম্যাচের শেষ ৩০ মিনিটে চাপ বাড়াতে বারকোলা এবং আসেনসিওকে নামান এনরিকে। চাপও বাড়ে বটে। কিন্তু ৮৬ মিনিটে আরও একবার এমবাপের শট বার ছুঁয়ে চলে যায়। ৮৮ মিনিটে ভিতিনহার জোড়ালো শট ফের ক্রসপিসে লেগে প্রতিহত হয়। গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও বল জালে জড়াতে পারেনি পিএসজির ফুটবলার। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে জিতে ফাইনালের টিকিট হাতে নিয়েই মাঠ ছাড়ে এডিন টেরজিকের বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ৭০ শতাংশ বল পজিশন, সঙ্গে ৩০টা শট নিয়েও পিএসজি যা করতে পারল না, সেটাই দুই লেগে করে দেখাল জার্মানির ক্লাব দলটি। প্রথম লেগেও ফুলক্রুগের গোলে ১-০ জিতেছিল ডর্টমুন্ড।
আরও পড়ুন-MLS- অবিশ্বাস্য রেকর্ড মেসির! ৫ অ্যাসিস্ট, ১ গোল, পিছিয়ে পড়েও দল জিতল ৬-২ গোলে
আরও একটা ফাইনাল, এবারও সেই ওয়েম্বলিতে। এই মূহূর্তে যা অবস্থা তাতে রিয়াল মাদ্রিদ বা বায়ার্ন মিউনিখ, দুই দলের কাছে সুযোগ রয়েছে ফাইনালে ওঠার। ফলে ওয়েম্বলিতে ২০১৩ সেমিফাইনালের বদলা রিয়াল নেবে না ২০১৩ সালের ফাইনালের বদলা বায়ার্নের বিপক্ষে বরুশিয়া নেবে, তাঁর উত্তর দেবে ২জুনের রাত।