মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দল অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে সমর্থন করে। কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে এতে হিন্দুদেরও সমস্যা হবে। তিনি জানিয়েছেন, আমরা অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে সমর্থন করি। কিন্তু এটা যারা নিয়ে আসছে তাদের এটা ভাবাটা উচিত হবে না যে এটা কেবলমাত্র মুসলিমদের সমস্যা তৈরি করবে। এটা হিন্দুদেরও সমস্যা তৈরি করবে। এনিয়ে নানা প্রশ্ন উঠবে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী গোহত্যার নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গেও তিনি মুখ খোলেন।
উদ্ধব ঠাকরে বলেন, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী মনোহর পারিক্কর নিজেই একটা সময় বলতেন যদি রাজ্যে গরুর কোনও ঘাটতি পড়ে তবে আমরা সেটা আমদানি করে নেব। সংবাদ সংস্থা এএনআই উদ্ধব ঠাকরেকে উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছেন।
রবিবার উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন, আমরা সকলের জন্য অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চাইছি। কিন্তু এটা কি হিন্দুদের ক্ষেত্রেও বিপরীত প্রভাব ফেলবে? যদি ওরা গোটা দেশে গো হত্যা নিষিদ্ধ করতে না পারে তবে কীভাবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হবে?
গত সপ্তাহে ল কমিশন অফ ইন্ডিয়া সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এনিয়ে মতামত চেয়েছিল। বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের কাছ থেকেও মতামত চাওয়া হয়েছিল। ভারতীয় জনতা পার্টি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু একাধিক বিরোধী দল এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে। কংগ্রেস, তৃণমূল সহ একাধিক বিরোধী দল এনিয়ে মুখ খুলেছে।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ জানিয়েছিলেন, কেন এই বিষয়টি নিয়ে আবার আলোচনা করা হবে তা নিয়ে আইন কমিশন কোনও কিছু উল্লেখ করেনি। কেবলমাত্র কিছু কোর্ট অর্ডার আর বিষয় ভিত্তিক কিছু ভিত্তিহীন প্রসঙ্গের কথা বলছে। আসলে এটাও মোদী সরকারের মেরুকরণের একটা দিক। জনতা দল ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে তাড়াহুড়ো করে প্রয়োগ করার কোনও মানে হয় না।
এনিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্বও। তৃণমূল এমপি ডেরেক ও ব্রায়েনকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, যখন আপনি কাজ দিতে পারছেন না, চালের দাম কমাতে পারছেন না, যখন আপনি আপনার প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারছেন না, তখন আপনি একটা কাজই করতে পারেন সেটা হল আপনি ২০২৪ সালের আগে বিভাজনের রাজনীতিকে উসকে দিতে। আর সেটাই করছেন আপনি। সেটা হল ইউনিফর্ম সিভিল কোড।