উৎসবের মরশুমে যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে পারে, ওনামে সেই প্রমাণ মিলেছে। তাই আগামী কয়েক মাসে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিল কেন্দ্র। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, দেশে এখনও করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হয়নি।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি যে প্রতিটি উৎসবের মরশুমের পর সংক্রমণ বেড়ে যায়। আগামী সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেই সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক উৎসব পালিত হবে। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সুরক্ষাবিধি মেনে উৎসব পালন করতে হবে।’ তিনি জানিয়েছেন, ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। টিকা নেওযার পরও মাস্ক পরতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, উৎসবের মরশুমে যে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ওনাম। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কেরালায় করোনার সংক্রমণ বেশি থাকছে। বিশেষত ২৭ জুলাই থেকে কেরালার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০,০০০-এর আশপাশে থাকছে। 'কেরালা মডেল' এতটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে যে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সপ্তাহে কেরালা থেকে দেশের ৫৮.৪ শতাংশ করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তারইমধ্যে বুধবার দৈনিক সংক্রমণ ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যায়। ওই ২৪ ঘণ্টায় কেরালায় ৩১,৪৫৫ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। সংক্রমণের হার ছিল ১৯.০৩ শতাংশ। শুধু তাই নয়, মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা একধাক্কায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
সেই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করা যাবে না। কারণ এখনও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে আছি। এখনও দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হয়নি। আমাদের যাবতীয় সতর্কতা মেনে চলতে হবে।’