ধ্বংসস্তূপ ভেদ করে সেখান দিয়ে ৬ ইঞ্জির একটি চওড়া পাইপ ঢোকানো হয়েছে টানেলের ভিতর। সেই পাইপ দিয়ে পাঠানো হচ্ছে খাবার। এভাবেই উদ্ধার কাজে নেমে টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে সেখান থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। তবে, প্রশ্ন ছিল, দুর্ঘটনা কবলিত টানেলের ভিতর কী অবস্থায় রয়েছেন ওই আটকে পড়া ৪১ শ্রমিক? তার জবাব দিচ্ছে সদ্য প্রকাশিত এক ভিডিয়ো। যেখানে ধরা পড়েছে উত্তরকাশীর টানেলের ভিতর আটকে পড়া শ্রমিকদের দৃশ্য।
উত্তরকাশীর টানেলের ভিতর যে পাইপ দিয়ে শ্রমিকদের খাবার সরবরাহ করা হয়েছে, সেই পাইপের ভিতর ক্যামেরা দিয়েই আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিস্থিতির ছবি তুলে ধরা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আটকে পড়া ৪১ শ্রমিক সুস্থ ও নিরাপদে রয়েছেন। তাঁদের অক্সিজেন ও খাবার সরবরাহ চলছে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাঁদের বের করার জন্য বিশেষ চওড়া পাইপ বসানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ৬ ইঞ্জি চওড়া ওই পাইপের ভিতর এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরায় এই ছবি তোলা হয়েছে। যে পাইপটি ধ্বংসস্তূপ ভেদ করে টানেলের ভিতরে প্রবেশ করানো হয়েছে। সেখানে ক্যামেরা বসিয়ে ফের কর্মীদের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। এর আগে, পাইপলাইনের মধ্যে থেকে ওয়াকিটকি দিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথাবার্তা চালানো হচ্ছিল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতিতে খোদ ক্যামেরা দিয়ে উঠে এসেছে ছবি।
উল্লেখ্য, উদ্ধার কাজের সময় ওই ক্যামেরার সামনে মুখ এনে কর্মীরা জানাচ্ছিলেন তাঁদের অবস্থা। এদিকে, ওই ৬ ইঞ্জির পাইপ দিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে খিচুড়ি খাবার হিসাবে পাঠানো হচ্ছিল। সেখান দিয়ে গিয়েছে তাঁদের কাছে জলের বোতল। এছাড়াও ক্রমাগত তাঁদের অক্সিজেন সরবরাহের বন্দোবস্ত করা হচ্ছিল। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে শ্রমিকদের হাতে রয়েছে শুকনো ফল। ফলে তাঁরা যে খাবার পাচ্ছেন, তা জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর এই টানেলে গত রবিবার ভোরে একাংশে ধস নামে। আর সেখানেই আটকে পড়েন অনেকে। তড়িঘড়ি শুরু হয়ে যায় উদ্ধার কাজ। উদ্ধারে নেমে ৪১ জন শ্রমিক সুরক্ষিত রয়েছেন বলেও জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল। আপাতত তাঁদের সেখান থেকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে।