উৎসবের মরশুম এসেছে। তবে ভারতের বহু আইটি সংস্থার কর্মীদের মনে সুখ নেই। কারণ উইপ্রো, ইনফোসিসের মতো সংস্থা ইতিমধ্যেই বোনাসের পরিমাণে কাটছাঁট করেছে। ভ্যারিয়েবল পে-এর কাঠামোতে বদল আনছে টিসিএস। এদিকে নিজেদের মাইক্রোসফ্ট প্রোজেক্ট থেকে ৩০০ জনকে ছাঁটাই করেছে এইচসিএল। কর্মীদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি, পরিবর্তনশীল পেআউট কমিয়ে নিজেদের খরচ কমাতে চাইছে এই সংস্থাগুলি।
এই প্রসঙ্গে ব্রোকারেজ এবং গবেষণা সংস্থা ইলারা ক্যাপিটাল তাদের একটি নোটে বলেছে, ‘সংস্থাগুলির এই কৌশলগত পরিবর্তন কি চাহিদা কমে যাওয়ায় অথবা সরবরাহ ও ক্ষতি কমানোর জন্য করা হয়েছে, তা নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে। ভ্যারিয়েবল পে কাটা হলে তা মার্জিন শুধরে দিতে পারে। আমাদের বিশ্লেষণ অনুসারে, ভ্যারিয়েবল পে কাটার ফলে ইনফোসিস এবং উইপ্রোর ২.২ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ অপারেটিং মার্জিন বাড়তে পারে। সাধারণত ভারতের প্রযুক্তি সংস্থাগুলি নিজেদের আয়ের ৪৪ থেকে ৬২ শতাংশ কর্মচারীজদের পিছনে খরচ করে। ফলস্বরূপ, কর্মচারীদের বেতনে কাটছাঁট করলে তা সংস্থার খরচ কমাতে এবং মার্জিন বাড়াতে বাধ্য।’
তবে এরই মাঝে ভ্যারিয়েবল পে কমে যাওয়ায় কর্মীরা চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র যেতে পারে। তার জেরে সংস্থার কাজে প্রভাব পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই আইটি সেক্টরে অ্যাট্রিশন রেট বেড়েছে। অর্থাৎ, ভালো প্রজেক্ট, বেশি বেতনের জন্য ১-২ বছরের মধ্যেই চাকরি বদল করছেন কর্মীরা। আর তার ফলে মাথায় হাত সংস্থাগুলির। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত ইনফোসিসের চাকরি ছাড়ার হার ২৮.৪ শতাংশ। তবে এই সমস্যা মেটাতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে শিথিলতা আনা হয়েছে সংস্থার তরফে। এর আগে ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৮ থেকে ১০ হাজার পদোন্নতি দিয়েছিল ইনফোসিস। তবে ২০২১-২২ অর্থরবর্ষে কাজের ভিত্তিতে ৪০ হাজার পদোন্নতি দিয়েছে সংস্থা।