লজ্জাজনক ঘটনা ঘটল বিহারে। বিডিওর ফেয়ারওয়েল পার্টি নিয়ে বিপাকে পড়ল বিহার প্রশাসন। এক বিডিওর বদলিকে ঘিরে একটি পার্টির আয়োজন করা হয়। সেই আপত্তিকর বিষয় সামনে এসেছে। অনুষ্ঠানের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা ভোজপুরি গানের তালে অশ্লীল অঙ্গীভঙ্গিতে চটুল নাচ করছেন নর্তকীরা। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সমালোচনায় সরব হয়েছেন নেটিজেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল। সরকারি দফতরে কীভাবে এই ধরনের নাচের আয়োজন করা হল? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের খাগরিয়া জেলার একটি ব্লকে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা প্রশাসন। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শাসক।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশেই রাতের অন্ধকারে চলছে চটুল নাচ, ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, বিডিওর নাম সুশীল কুমার। তিনি বেলদাউর ব্লকের বিডিও ছিলেন। তবে সম্প্রতি তাঁর বদলির নির্দেশ আসে। সে নির্দেশ আসার পরেই ব্লক প্রশাসনের তরফে বিডিওর জন্য ফেয়ারওয়েল পার্টির আয়োজন করা হয়। বেলদৌর বিডিও অফিস চত্বরেই একটি অর্কেস্ট্রা পার্টির আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে নাচের জন্য ডাকা হয় কয়েকজন বার ডান্সারকে। সেই অনুষ্ঠানেই ভোজপুরি গানের তালে অশ্লীল অঙ্গীভঙ্গিতে নাচতে দেখা গিয়েছে নর্তকীদের। শুধু তাই নয়, ভাইরাল হওয়া ভিভিডিয়োতে আরও দেখা গিয়েছে, নাচের সময় ওই নর্তকীদের উদ্দেশ্যে টাকা ওড়াচ্ছেন বিডিও এবং অনুষ্ঠানে আসা অতিথিরা। সকলেই সেই অনুষ্ঠান ব্যাপক উপভোগ করছেন। বার ডান্সাররা স্টেজে নাচলেও নীচে গানের তালে সারা সন্ধা নাচেন অন্যান্য সরকারি কর্মচারী এবং আধিকারিকরা। যদিও ওই অনুষ্ঠানের কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি বলেই দাবি পুলিশের।
ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরেই বিষয়টি জেলা শাসকের নজরে আসে। এই ঘটনায় তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ১২ জুলাই ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের যেভাবে উদ্দাম নাচতে দেখা গিয়েছে তাতে বিস্মিত সকলেই। এই ধরনের ঘটনায় কার্যত লজ্জায় পড়েছে জেলা প্রশাসন। পুলিশের দাবি, তাদের কাছে এই ধরনের পার্টি আয়োজনের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। তবে সরকারি দফতরে এই ধরনের অনুষ্ঠানে নিন্দায় সরব হয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক মহল।