প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির বুকে হিংসার পর কিছুটা হলেও গতি হারিয়েছে কৃষক আন্দোলন। বেশ কয়েক জায়গা থেকে আন্দোলন প্রত্যাহার করে ফিরে গিয়েছে চাষীরা। কিন্তু যেসব স্থানে এখনও আন্দোলন চলছে তার অন্যতম হল দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্ত। সেখানে এদিন বিক্ষোভরত চাষীদের সঙ্গে স্থানীয়দের হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে টিয়ার গ্যাস চালাতে হয় পুলিশকে। সংঘর্ষে এক পুলিশ অফিসার সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ অফিসার প্রদীপ পালিওয়াল ছুরিকাহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এদিন দুপুর বেলা স্থানীয় কিছু মানুষ এসে আন্দোলন প্রত্যাহার করার দাবি করেন সিঙ্ঘু সীমান্তে। গতকালও এখানে এই দাবি নিয়ে কিছু মানুষ এসেছিলেন। কিন্তু এদিন পরিস্থিতি অনেকটাই খারাপ হয়। পাথড় ছুঁড়তে থাকে এই স্থানীয়রা। অনেক তাঁবুও তারা উলটে দেয়। পালটা জবাব দেয় বিক্ষোভরত চাষীরা। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় পাথরবাজি। সেখানে অবস্থিত পুলিশদের সামনেই চলে এই হিংসা। পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ।
স্থানীয় আলিপুর থানার অফিসার (এসএইচও) প্রদীপ পালিওয়াল এই ঘটনায় ছুরিকাহত হয়েছেন। এক স্থানীয় ব্যক্তিও আহত হয়েছেন। একটি চাষী হিংসায় রত হয়েছিল বলে তাকে আটক করে পুলিশ। তখন সুযোগ পেয়ে স্থানীয়রা তাকে প্রহার করে বলেও জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি থমথমে তবে RAF নামিয়ে আপাতত হিংসা বন্ধ করা গিয়েছে।
অন্যদিকে গাজিপুরে বৃহস্পতিবার সারা রাত জুড়ে ছিল তুমুল উত্তেজনা। রাকেশ তিকাইতকে পুলিশ বলেছিল যে এদিনের মধ্যে আন্দোলন গুটিয়ে নিতে। কিন্তু তিনি রাজি হননি, ভেঙে পড়েন কান্নায়। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশ থেকে হাজার হাজার চাষী যোগ দিয়েছেন গাজিপুরে চলা অবস্থানে। সমর্থন জুগিয়েছে এসপি ও আইএনএলডি। এদিন আম আদমি পার্টির নেতারাও গাজিপুরে গিয়ে জল ইত্যাদির ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা তার তদারকি করেন। তিকাইতের সমর্থনে বার্তা দিয়েছেন কেজরিওয়ালও। আপাতত তাই গাজিপুরে আন্দোলন বন্ধ হবে না বলে মনে হচ্ছে। যদিও ৩১ তারিখের মধ্যে পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে রাকেশ তিকাইতকে প্রজাতন্ত্র দিবসে হওয়া হিংসার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।