জাতীয় রেল পরিকল্পনার খসড়ায় ওয়েটিং লিস্ট তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়নি, জানাল কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এমনই ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছে মন্ত্রক।
শনিবার মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, রেল পরিকল্পনার খসড়ায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যে ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হবে। কিন্তু তার জেরে ওয়েটিং লিস্ট বাতিল করা হবে এবং শুধুমাত্র কনফার্মড যাত্রীরাই রেলভ্রমণের অনুমতি পাবেন, এমন কথা বলা হয়নি।
রেল মন্ত্রকের তরফে ব্যাখ্যামূলক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই উদ্যোগের ফলে যাত্রীদের ওয়েটিং লিস্টে নাম ওঠার সম্ভাবনা হ্রাস পাবে।’
মনে রাখা দরকার, যে কোনও ট্রেনে সংরক্ষিত আসনের তুলনায় যাত্রীদের চাহিদা বেশি হলে ওয়েটিং লিস্ট তৈরি করা হয়। এই কারণে, সরকারের তরফে ওয়েটিং লিস্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের মতে, চাহিদা ও লভ্যতার মধ্যে গরমিল থাকলে তা বোঝার উপায় হল ওয়েটিং লিস্ট।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি জাতীয় রেল নীতি তৈরি করা হচ্ছে যেখানে নজর রাখা হয়েছে অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামো বৃ্দ্ধি এবং রেলের আয় বৃদ্ধির উপরে। এই নীতির মূল লক্ষ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে রেলে যাত্রী ও ট্রেন সফরের সংখ্যা বাড়ানো। এই খসড়া তৈরি করতে বছরভর সমীক্ষা চালিয়েছে প্রশাসন।
একই সঙ্গে যাতায়াতের সময় কমানো এবং পরিষেবা বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি, কার্বন নির্গমন হ্রাস করার বিষয়েও সচেষ্ট হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। ২০৩০ সালের মধ্যে নেট জিরো কার্বন নির্গমন সফল করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র।