চলছে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের শুনানি। তার মধ্যেই এল ব্রিটিশ শাসনে বাংলার পরিস্থিতির কথা। পড়ে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই। অথচ এই ঘটনার সাক্ষী থাকল ওয়াশিংটন ডিসি। আদৌ ইমপিচমিন্ট ট্রায়াল করা সংবিধান সম্মত কিনা, এই নিয়েই প্রশ্ন উঠল প্রথম দিন। সেনেট অবশেষে ৫৬-৪৪ ভোটে এই ট্রায়াল চালু করার পক্ষে রায় দেয়।
এই প্রসঙ্গে ট্রাম্পের আইনজীবীরা বলেন যে গদি ছাড়ার পর আর ইমপিচ করা যায় না। তখন ইমপিচমপন্থীরা ওয়ারেন হেস্টিংসের উদাহরণ দেন, যিনি ব্রিটিশ আমলে বাংলার গভর্নর জেনারেল ছিলেন। আঠেরোশো শতাব্দীতে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম প্রেসিডেন্সির প্রথম গভর্নর ছিলেন। তিনি রবার্ট ক্লাইভের চালু করা যৌথ ব্যবস্থার অবসান করেন যেখানে রাজস্ব পেত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ছিল ভারতীয় শাসকদের হাতে। ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত মজবুত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেন ওয়ারেন হেস্টিংস।
হাউস ইমপিচমেন্ট ম্যানেজার জেমি রাসকিন বলেন যে মার্কিন সংবিধান অনেকাংশে ব্রিটেন থেকে ধার করা। হেস্টিংসের আমলে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল বাংলায়, সেই নিয়ে ইংল্যান্ডে ফেরার পর তদন্তের মুখে পড়েন তিনি। অব্য়বস্থা ও দুর্নীতির দায় হাউস অফ কমোন্সে তাঁকে ইমপিচ করা হলেও উচ্চকক্ষে ছাড়া পেয়ে যান তিনি।
এই উদাহরণটি দিয়ে রাসকিন বলেন যে সংবিধান রচয়িতারা এই বিষয়ে সম্যক ভাবে জ্ঞাত ছিলেন। হেস্টিংসের কেসটির কথাটি তারা কনভেনশনে উল্লেখ করেছেন বলেও জানান রাসকিন। এরকম লোকের যে শাস্তি পাওয়াই উচিত, সেটা নিয়ে আমেরিকার সংবিধান রচয়িতারা নিঃসন্দেহ ছিলেন বলে জানান রাসকিন। তাই হেস্টিংসের জন্য যেটা সত্যি, সেটা ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও খাটে বলে তিনি যুক্তি সাজান।