সম্প্রতি আইন পাশ করে কেন্দ্র জানায়, ২৮ মে ২০১২-র আগে যদি কোনও লেনদেন করা হয়, তাতে ভবিষ্যতে কোনও রেট্রোস্পেক্ট সংশোধনীর ভিত্তিতে করের দাবি করা যাবে না। প্রসঙ্গত, এই রেট্রোস্পেক্ট রাজস্ব বাবদ কেন্দ্রকে জমা করা ১.২ বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছে ব্রিটিশ তেল ও গ্যাস উত্তোলনকারী সংস্থা কেয়ার্ন এনার্জি। ভোডাফোনের থেকেও রেট্রোস্পেক্ট রাজস্ব নিয়েছিল কেন্দ্র। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পর্যন্ত টানাপোড়েন চলে। তার মধ্যে এই বিল বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। এই বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের এডিটর-ইন-চিফ আর সুকুমারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে মুখ খোলেন অর্থমন্ত্রী।
সম্প্রতি বিতর্কিত রেট্রোস্পেক্টিভ কর ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। কেয়ার্ন এবং ভোডাফোন এর আগে এই কর ব্যবস্থার ভুক্তভুগী ছিল। রেট্রোস্পেক্টিভ কর ব্যবস্থা বাতিল করা নিয়ে এই সব সংস্থার প্রতিক্রিয়ার কথা জানতে চাওয়া হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'এটা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হয়েছে। আমরা এক দফা আলোচনায় বসেছি এবং এই সংক্রান্ত কোনও বিরোধের সুর শুনিনি। রেট্রোস্পেক্টিভ করের মাধ্যমে একটি সংস্থা কর পরিশোধ করেছিল। সরকারকে তাদের সেই অর্থ ফেরত দিতে হবে। সেখানেই এই অধ্যায় শেষ করা উচিত। আমরা সুদ দেব না। এবং তাদের সমস্ত মামলা মোকদ্দমা শেষ করতে হবে। সেসব নিয়ে বিশদে কাজ করা হচ্ছে।'
এদিকে ভোডাফোন-আইডিয়া সংস্থার অন্যতম শেয়ারহোল্ডার হল ভোডাফোন। সম্প্রতি সরকারের ঘোষিত টেলিকম প্যাকেজের ফলে তারা সুবিধা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে সরকারের পদক্ষে ষথেষ্ট কি না জিজ্ঞেস করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'অবশ্যই। প্যাকেজটি যেভাবে এসেছে - এটি সংস্কারও এনেছে। এটি অনেক অসঙ্গতি এবং সীমাবদ্ধতা দূর করবে। ব্যবসাকে নিশ্বাস নেওয়ার জায়গা দেওয়া হয়েছে। সরকার চায় যে এই সেক্টরটি একটি মুক্ত পদ্ধতিতে পরিচালিত হোক এবং দুই বা তিনটির বেশি প্রতিযোগী হোক। অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার জন্য বাজারগুলোকে খুলে দিতে হবে; এবং এতে গ্রাহকরাই উপকৃত হবেন।'
তিনি আরও বলেন, 'কিন্তু কোম্পানিগুলিকে ইকুইটির মাধ্যমে মোরেটোরিয়ামের অধীনে স্থগিত করা কিছু পরিমাণ অর্থ প্রদানের অনুমতি দেওয়া হলে, সরকার ভারতীয় টেলিকমের একটা বড় অংশ হাতে পেতে পারে। আমি মনে করি এটি একটি বিশেষ উদ্যোগ হবে (সেই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি কোম্পানি), তবে সেটা সরকার সরাসরি চালাবে না।'