ভারতে করোনাভাইরাসের অবশ্যম্ভাবী বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাতে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে শিশুদের উপর। কার্যকারীভাবে সেই আগাম বিপদের মোকাবিলার জন্য আজ থেকেই কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই শিশুদের টিকাকরণ শেষের নির্দেশ দেওয়া হল।
দিল্লি হাইকোর্টের জারি করা শোকজ নোটিশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের দায়ের করা মামলায় বুধবার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যদি এখন থেকেই প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়, তাহলে হয়তো তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করা যাবে। আর সেটার জন্য বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনার মাধ্যমে টিকাকরণ করতে হবে। শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে (করোনার) তৃতীয় ঢেউ সামনেই আসছে। যা শিশুদের উপর প্রভাব ফেলবে। একটি শিশু যখন হাসপাতালে যাবে, তখন তার মা এবং বাবাকেও যেতে হবে। তাই এই শ্রেণিরও টিকাকরণ করতে হবে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে আমাদের টিকাকরণের জন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন আছে এবং সেরকমভাবে প্রস্তুতি সারতে হবে।’
একইসঙ্গে বর্তমানে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় চিকিৎসা পরিকাঠামো জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেজন্য যে চিকিৎসকরা এমবিবিএস স্তরের পড়াশোনা করেছেন এবং স্নাতকোত্তর কোর্সে নাম নথিভুক্ত করার অপেক্ষায় আছেন, তাঁদের চিকিৎসা পরিষেবায় কাজে লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের ১.৫ লাখ চিকিৎসক আছেন। যাঁরা মেডিক্যাল কোর্স শেষ করে ফেলেছেন এবং সর্বভারতী মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছেন। আপনারা তাঁদের কীভাবে ডাকবেন? বাড়িতে বসে আছেন ১.৫ লাখ চিকিৎসক এবং ২.৫ লাখ নার্স। তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছেন।’