বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলা থেকে অর্কেস্ট্রা দলে যুক্ত চার নাবালিকা-সহ ৮ মহিলাকে উদ্ধার করল মাঝাউলিয়া থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয় আরও ৫ জনকে। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে।
বেত্তিয়ার পুলিশ সুপার উপেন্দ্রনাথ ভার্মা জানিয়েছেন, জাতীয় শিশু অধিকার নিরাপত্তা কমিশনের (NCPCR) থেকে চিঠি পেয়ে এ দিন ভোর তিনটে নাগাদ মাঝাউলিয়া থানার অন্তর্গত মহাদিপুর গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
মাঝাউলিয়া থানার প্রধান আধিকারিক রানা রণবিজয় বলেন, ‘আমরা দুই জনকে গ্রেফতার করেছি। ’তাদের মধ্যে একজন মহিলা, যে জোর করে যুবতী ও নাবালিকাদের অর্কেস্ট্রা দলে কাজ করতে নামিয়েছিল।’
ধৃত দুই জনের একজন মাঝাউলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাহেব আলম (৩১) এবং পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুরের বাসিন্দা জ্যোতি মিশ্র (১৮)।
বেত্তিয়ার পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্টকে লেখা চিঠিতে NCPCR-এর তরফে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ৫ নাবালিকাকে অর্কেস্ট্রা দলে জোর করে নামাতে পশ্চিম চম্পারণ জেলার মাঝাউলিয়া থানার অন্তর্গত গ্রামে পাচার করা হয়েছে। ওই নাবালিকাদের উপরে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে বলেও চিঠিতে অভিযোগ করা হয়। জানানো হয়, পাচার হওয়া এক নাবালিকা খবর পাঠিয়ে সাহায্য চাওয়ার পরে ঘটনাটি কমিশনের গোচরে আসে।
মাঝাউলিয়া থানার প্রধান আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘তদন্তে নেমে আমরা জানতে পেরেছি, জ্যোতি মিশ্র নামে ওই মহিলা নাবালিকা পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। এ দিনের অভিযানে মোট ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইন এবং অনৈতিক পাচার (দমন) আইন ছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে।