তেসরা মে কি শেষ হবে লকডাউন? মুম্বই ও কলকাতার হাল নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্র
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 24 Apr 2020, 06:49 PM ISTআগামী পদক্ষেপ কী, সেই নিয়ে চলছে আলোচনা।
আগামী পদক্ষেপ কী, সেই নিয়ে চলছে আলোচনা।
তেসরা মে অবধি তো লকডাউন। তারপর কী হবে।এই নিয়ে এখন চলছে চিন্তাভাবনা। কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে ধাপে ধাপে রাশ আলগা করতে যাতে নতুন করে করোনা ছড়িয়ে না পড়ে এবং অর্থনীতিও বাঁচে। ইতিমধ্যেই গ্রামের দিকে অনেকটা ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র।
কিন্তু পুরোদস্তুর অর্থনীতির চাকা ঘুরতে গেলে বড় শহরগুলিতে কাজ শুরু হতে হবে। মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের মতো শিল্পোন্নত রাজ্য করোনার জাঁতাকলে পিষ্ট। এতে নিশ্চিত ভাবেই কিছুটা চাপে সরকার।২৭ এপ্রিল সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফের বৈঠক আছে প্রধানমন্ত্রীর। সেখান থেকে রাজ্যদের অভিমত জানবেন তিনি। তবে প্রাথমিক ভাবে বড় শহরের ঘনবসতিপূর্ণ বস্তি এলাকায় করোনা ছড়িয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্র।
একজন শীর্ষ কর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন ধাপে ধাপে ছাড় দেওয়া হবে। তিনি বলেন যে হু ও অন্যান্যরা ভেবেছিল, ভারত হয়তো করোনাকে সামলাতে পারবে না। কিন্তু যেভাবে এখনও পর্যন্ত করোনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে, ভবিষ্যতেও সেটা করতে পারবে সরকার।
তবে আপাতত কেন্দ্র চিন্তিত মুম্বই ও কলকাতা নিয়ে। মুম্বইয়ে কেবল ধারাভিতেই ৯৩০টি কন্টেনমেন্ট জোন। দেশের ১৮ শতাংশ কেসই মুম্বইয়ে। দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও বিশেষ কিছু পকেটে সেটা সীমাবদ্ধ মূলত। গুজরাতের সুরাত, আমদাবাদ, তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ ও তামিলনাড়ুর চেন্নাইতে হটস্পট বাড়ছে। সেই কারণে সেখানে বিশেষ টিম পাঠানো হয়েছে।
তবে কলকাতা নিয়েও খুবই চিন্তিত কেন্দ্র। তাদের মতে প্রথম থেকেই করোনা নিয়ে রাজনীতি করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনায় মৃত্যু হয়েছে কিনা সেটার জন্য অডিট কমিটি গঠন করাকেও ভালো চোখে দেখছে না কেন্দ্র।
বাংলায় যে দুই টিম গিয়েছিল তাদের মতো একটা টিম ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি অপ্রতুল।টেস্টের পর সময় ফলাফল আসছে না। চার দিন আগেও দিনে ৪০০ করে টেস্ট করছিল রাজ্য। এখন বেড়ে ৯০০ হয়েছে। কিন্তু সেটাও যথেষ্ট নয়।
শুধু বাংলাতেই নয়, সারা দেশেই অ্যান্টিবডি টেস্ট বাড়াতে চায় কেন্দ্র। এই জন্য চিন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কিট কেনা হয়েছে।
কখন লকডাউন ওঠানো উচিত, কোনও নির্দিষ্ট ফরমুলা নেই। সারা বিশ্বই এই নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জীবন ও জীবিকা, এই দুটির মধ্যে সামঞ্জস্য রাখাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।