রাজ্যের জনজাতি ভোটের কথা মাথায় রেখে এবং অনুগতদের সঙ্গে রাখতে বিরোধী এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করেছে শিবসেনা। আর তারপরেই বিরোধী শিবিরের প্রার্থী যশবন্ত সিন্হা মুম্বই সফর বাতিল করে দিলেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। মুম্বই সফরে গিয়ে মহা বিকাশ আঘাদি (এমভিএ) বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করা এবং ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল যশবন্ত সিন্হার। তবে সেই সফর তিনি বাতিল করেছেন বলেই জানিয়েছেন এক কংগ্রেস নেতা। একইসঙ্গে এর কারণ হিসেবে মুর্মুকে শিবসেনার সমর্থন করার কথাকেই জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ঘোষণা করেছিলেন যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শিবসেনা মুর্মুকে সমর্থন করবে। কোনও চাপে যে শিবসেনা এই সিদ্ধান্ত নেয়নি তাও তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আদিবাসীদের হয়ে কাজ করে এমন বেশ কয়েকজন শিব সৈনিক বলেছেন যে এই প্রথমবারের মতো কোনও উপজাতি মহিলাকে সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে দাঁড় করানো হয়েছে। তার বিরোধিতা করা হলে শিবসেবা পিছিয়ে পড়তে পারে। সেই কারণে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই লড়াইয়ে আরও এক প্রস্ত পিছিয়ে পড়েছেন বিরোধী শিবিরের প্রার্থী যশবন্ত সিন্হা।
লোকসভায় শিবসেনার ১৯ জন সাংসদ রয়েছে। এর মধ্যে তিনজন রাজ্যসভার সাংসদ। এছাড়াও ৫৫ জন বিধায়ক রয়েছেন। আগামী সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২১ জুলাই গণনা হবে এবং নতুন রাষ্ট্রপতি শপথ নেবেন ২৫ জুলাই। ফলে শিবসেনা সমর্থন তুলে নেওয়ায় স্বাভাবিভাবেই ব্যাকফুটে যশবন্ত।
পরিস্থিতি যা তাতে দ্রৌপদীর জয় নিশ্চিত। প্রশ্ন হল, তিনি কত ভোটে জিততে চলেছেন। দক্ষিণের টিএসআর ছাড়া এই মুহূর্তে যশবন্তের সমর্থনে সেই অর্থে কোনও দলই সে ভাবে সরব নয়। এমনকি, যে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমে যশবন্তের নাম সমর্থন করেছিল, তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, এনডিএ যদি দ্রৌপদীর নাম আলোচনা করে ঘোষণা করত, সে ক্ষেত্রে বিরোধীরা প্রার্থী দেওয়ার আগে ভাবনাচিন্তার সুযোগ পেতেন।